Main Menu

ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় চলে কার্যক্রম!

নিউজ ডেস্ক:
উদ্বোধনের পর সাত বছর না যেতেই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্স ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটির ১৪টির মধ্যে ৮টি কক্ষের মেঝে ধসে গেছে। কক্ষের পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে এক বছর ধরে কমপ্লেক্স ভবনের বারান্দায় সভা, সালিস করার পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ধর্মপাশা উপজেলা কার্যালয় ও ইউপি সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির অধীনে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ইউপির দোতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করে। ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভবনটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের চার বছরের মধ্যেই ভবনটির কক্ষের পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। কিছুদিন পর পরিষদ ভবন মিলনায়তনসহ ১৪টির মধ্যে ৮টি কক্ষের মেঝের একাংশ ধসে যায়। এই ভবনের চারটি শৌচাগারই ব্যবহারের অনুপযোগী। এ ছাড়া ভবনের কয়েকটি দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে।

ইউপি সূত্র আরও জানায়, গত বছরের বৈশাখ মাসে প্রবল ঝড়ে ও বজ্রপাতে কমপ্লেক্স ভবনে থাকা আইপিএস ও সোলার প্যানেলটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষায় কমপ্লেক্স ভবনটির চারপাশে ইউপির উদ্যোগে বাঁশ ও বস্তা দেওয়া হয়। তবে ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় ভবনটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন বলেন, তাঁদের ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। কমপ্লেক্স ভবনের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ১৪টি কক্ষের মধ্যে ৮টি কক্ষের মেঝে ধসে গেছে। নানা স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই তিনি কক্ষগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না। চারটি শৌচাগারই ব্যবহারের অনুপযোগী। কয়েকটি দরজা-জানালাও ভেঙে গেছে। ঝুঁকি এড়াতে ভবনটির বারান্দায় এক বছর ধরে ইউপির দাপ্তরিক কার্যক্রম, সভা, সালিস বৈঠক করা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারান্দার ছাদ দিয়ে চুইয়ে পানি পড়ে। এ সময় সেখানেও আর বসা যায় না।

মোকাররম আরও বলেন, তাঁদের কার্যালয় ভবনটি চন্দ্র সোনার থাল হাওরের তীর ঘেঁষে অবস্থিত। তাই ভবন নির্মাণকাজের শুরুতেই প্রতিরক্ষাদেয়াল নির্মাণ করা দরকার ছিল। ভবনটি নাজেহাল হওয়ায় এলজিইডির প্রকৌশলীদের একাধিকবার জানালেও তাঁরা এখনো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এতে ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবউদ্দিন বলেন, খোঁজ নিয়ে এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ইউএনও শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানকে কমপ্লেক্স ভবনের কী কী সমস্যা আছে, এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *