Main Menu

সুদানে বাংলাদেশি দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে গুলি

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
সুদানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই বাহিনীর গোলাগুলিতে খার্তুমের বাংলাদেশ দূতাবাস আক্রান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বাসায়ও গুলির আঘাত হেনেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ফলে খার্তুমের বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে মেশিনগানের গুলি ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের বাসায়ও গুলি এসে পড়েছে।

বর্তমানে খার্তুমের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জাজিরা প্রদেশের মাদানি শহরে অবস্থান করছেন। তিনি সেখান থেকে বাংলাদেশিদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিতে কাজ করছেন।

বাসা এবং দূতাবাসে হামলার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমকে জানান, আমার বাসায় মেশিনগানের গুলির আঘাত হানার পরও আমরা খার্তুমে বসে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ২০ এপ্রিল ইউরোপের এক বন্ধুপ্রতিম দেশের পরামর্শে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মিশন ও বাসা ছেড়ে রীতিমতো অজানার উদ্দেশে যাত্রা করি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, একই গাড়িতে স্ত্রী, সহকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে সাতজন যাত্রা করেছিলেন। এলাকা ছিল জনশূন্য। একটু পরপরই আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করছেন। গন্তব্য অজানা থাকলেও একপর্যায়ে ঠিক হলো দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা যে এলাকায় থাকেন, সেখানে যাওয়া হবে।

এদিকে সুদানের সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যকার চলমান যুদ্ধ সহসাই থামছে না। কারণ সমস্যা সমাধানে কোনো পক্ষই সত্যিকার অর্থে আলোচনায় আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন সুদানে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত।

উল্লেখ্য সুদানে বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। তবে পাঁচ শতাধিক নাগরিক ফিরতে দূতাবাসে আবেদন জানিয়েছেন। ফিরতে আগ্রহীদের তালিকা করা হচ্ছে। সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ফেসবুক বার্তায় বলেন, ‘সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস এরই মধ্যে এই বার্তা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *