Main Menu

পাকা চুল-দাড়ি উঠানো নিয়ে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.

পাকা চুল-দাড়ি উঠানো নিয়ে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.
চুল-দাড়ি মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক। দাড়ি পুরুষকে ভিন্নমাত্রার সৌন্দর্য দেয়। চুল-দাড়ি নিয়ে কেউ কেউ একেবারে নির্বিকার। কোনো ধরনের ভাবনা নেই। যেমন আছে তেমন রেখে দেন। প্রয়োজন চুল কিছুটা কাটেন। তবে দাড়ি যেমন তেমনই রেখে দেন। বাড়তি কোনো ভাবনা নেই এ নিয়ে।

অনেকেই আবার পুরোপুরি এর বিপরীত। দাড়ি-চুলের যত্ন আত্তি নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। কীভাবে রাখলে সুন্দর দেখাবে। কতটা রাখবেন বা কাটবেন না নিয়েও চিন্তার অন্ত নেই। চুল-দাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে চিন্তারও শেষ নেই। কতজন কতভাবে রাখেন আবার কেটে সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। যে যার মতো স্টাইল অনুসরণ করেন।

তবে চুল-দাড়ি রাখার নির্দিষ্ট বিধান রয়েছ ইসলামে। পুরুষের চুল রাখা ও কাটার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়ত তিনটি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এক. বাবরি চুল রাখা। বাবরি চুল রাখার তিনটি সুন্নত পদ্ধতি রয়েছে। ১. ওয়াফরা তথা কানের লতি পর্যন্ত চুল রাখা। (আবু দাউদ, ৪১৮৫)

২. লিম্মা তথা ঘাড় ও কানের লতির মাঝামাঝি পর্যন্ত চুল রাখা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮৭)

৩. জুম্মা তথা ঘাড় পর্যন্ত রাখা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮৩)

দুই. মুণ্ডিয়ে ফেলা। ইসলামের দৃষ্টিতে মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলাও সুন্নত। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৫/১৪৯, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১২/৪৩)

তিন. সব চুল সমান করে কাটা।

নবীজি (সা.)-এর চুল যেমন ছিল
আর দাড়ি সর্বনিম্ন এক মুষ্টি পর্যন্ত রাখা ওয়াজিব। এক মুষ্টির পর দাড়ি কাটার অনুমতি আছে। কিন্তু এক মুষ্টির কমে দাড়ি কাটা অথবা মুণ্ডানো সম্পূর্ণ হারাম।

ইসলামী বিধান অনুযায়ী চুল-দাড়ি এভাবেই রাখতে হয় এবং কাটতে চাইলে এই নিয়মেই কাটতে হয়। তবে যদি কারো দাড়ি বা চুল পেকে যায় তাহলে তা না উঠিয়ে রেখে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী পাকা চুল মানুষের জন্য রহমত। হাদিসে পাকে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাকা চুল উঠাতে নিষেধ করেছেন। মানুষের চুল পাকায় রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—

‘তোমরা সাদা চুল উঠাবে না। কারণ এগুলো কেয়ামতের দিন নূর হবে। আর যে (মুসলিম) ব্যক্তির চুল বার্ধক্যের কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সাওয়াব লেখা হয়, একটি করে গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়।’ (ইবনু হিব্বান)

হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ নাসাঈ ও মিশকাতের বর্ণনায় এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাকা চুল তুলতে নিষেধ করেছেন। কারণ পাকা চুল হলো মুসলমানের জ্যোতি। কোনো মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তাআলার তার জন্য একটি নেকি লেখেন। একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটি পাপ মুচে দেন।’ (নাসাঈ, মিশকাত)

হজরত আমর ইবনু শুআইব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ধারাবাহিকভাবে তার বাবা ও দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাকা চুল-দাঁড়ি উঠাবে না। কেননা কোনো মুসলিম ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকালে (সুফিয়ানের বর্ণনায় রয়েছে) এটা তার জন্য কেয়ামাতের দিন উজ্জ্বল নূর (আলো) হবে। (ইয়াহইয়ার বর্ণনায় রয়েছে) আল্লাহ তার প্রতিটি পাকা চুলের পরিবর্তে তাকে একটি নেকি দান করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *