যে তাকবির ধ্বনিতে আনন্দ প্রকাশ করছেন সিরিয়ানরা
যে তাকবির ধ্বনিতে আনন্দ প্রকাশ করছেন সিরিয়ানরা
হায়াত তাহরির আল-শামের সশস্ত্র যোদ্ধারা দামেস্ক দখলে নেওয়ার পর সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ। রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়ে অনেকটা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, মাত্র ১২ দিনে, আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছেন তারা। ১৯৭১ সাল থেকে দেশটির ক্ষমতায় ছিল আসাদ পরিবার।
দুই যুগেও যা সম্ভব হয়নি, মাত্র ১২ দিনের অভিযানে সেই কাজ করে ফেলেছে হায়াত তাহরির আল-শামের সশস্ত্র যোদ্ধারা।
দামেস্ক দখলের পর ‘নতুন যুগের সূচনা’ ঘোষণা দিয়েছেন যোদ্ধারা। একইসঙ্গে প্রতিশোধ না নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে বলেছেন— ‘নতুন সিরিয়া’ হবে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের’ স্থান, যেখানে ন্যায়বিচারের জয় হবে এবং সমস্ত সিরিয়ানদের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।
স্বৈরশাসনের অবসানে উল্লাসে মেতে উঠেছেন সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। বিভিন্ন তাকবির ধ্বনিতে বিজয় উদযাপন ও আল্লাহ তায়ালা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে দামেস্কের একটি মসজিদে ঈদুল আজহায় যে তাকবির পড়া হয় তার মাধ্যমে বিজয় উদযাপন করছেন অনেকে।
ভিডিওতে দেখা গেছে অনেকেই একসঙ্গে বলছেন, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
এছাড়াও শাবাকাতু শাম (এসএনএন) নামের সিরিয়া ভিত্তিক একটি পোর্টালের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজেও একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, রাতের আধারে সিরিয়ার জনগণ তাকবির ধ্বনির মাধ্যমে বিজয় উদযান করছেন।
প্রসঙ্গত, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন।
তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে যোদ্ধারা আবারও তৎপর হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি তারা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট আসাদ।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More