মনের সাহস বাড়ানোর জন্য যে দোয়া পড়বেন
মনের সাহস বাড়ানোর জন্য যে দোয়া পড়বেন
দোয়াকে হাদীসে ইবাদতের মগজ বলা হয়েছে।মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত তবে দোয়ার মাধ্যমে অনেক সময় ভাগ্য পরিবর্তন হয়। এজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব সময় দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালাও বান্দার দোয়া কবুলের জন্য প্রস্তুত থাকেন। তবে এজন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা উচিত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে অনেক দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি দোয়া হলো মানসিক শক্তি ও সাহস বৃদ্ধির দোয়া। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত জারির (রা.)-এর মানসিক অক্ষমতায় নবীজি (স.) তাঁর জন্য দোয়া করেন। দোয়ার পর জারির (রা.) বড় একটি কাজে সক্ষমতার পরিচয় দেন।
দোয়াটি হলো— اللهم ثبتني واجعلني هاديا مهديا উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হাদিয়াম মাহদিয়্যা’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন, এবং আমাকে হেদায়াতপ্রাপ্ত ও হেদায়াতকারী বানিয়ে দিন।’
জারির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) (তাঁকে) বলেছেন, তুমি কি জুল-খালাসাহকে ধ্বংস করে আমাকে চিন্তামুক্ত করবে? সেটি ছিল একটি মূর্তি। লোকেরা এর পূজা করত। সেটিকে বলা হতো ইয়েমেনি কাবা।
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি অশ্বপৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমাকে বুকে জোরে একটি থাবা মারলেন এবং দোয়াটি পড়লেন। তখন আমি আমারই গোত্র আহমাসের ৫০জন যোদ্ধাসহ বের হলাম।…তারপর আমি সেই মূর্তিটির কাছে গিয়ে সেটি জ্বালিয়ে ফেললাম।
এরপর আমি নবী (স.)-এর কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কসম! আমি জুল-খালাসাহকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পাঁচড়াযুক্ত উটের মতো করে আপনার কাছে এসেছি। তখন তিনি আহমাস গোত্র ও তার যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করলেন। (বুখারি: ৬৩৩৩)
মনের সাহস বাড়াতে কিছু আমলও রয়েছে। যেমন- আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল থাকলে সাহস ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। হাসান বসরি (রহ) বলেন, ‘মালিকের ওপর বান্দার তাওয়াক্কুলের অর্থ, আল্লাহই তার নির্ভরতার স্থান—একথা সে মনে রাখবে।’ (জামেউল উলুম ওয়াল হিকাম, পৃ-৪৩৭)। তাওয়াক্কুলের সুফল নিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সুরা তালাক: ৩)
এছাড়াও মনের ভয় দূর করতে এবং কষ্টকর দায়িত্ব সহজে পালন করতে ‘লা হাউলা ওয়ালা ক্বুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ (অর্থ: কোনো সামর্থ্য-শক্তি নেই আল্লাহ ছাড়া) এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ার পর ১০০ বার ইয়া-মুহাইমিনু (হে রক্ষাকর্তা) পড়ার পরামর্শ দেন আলেমরা। সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে আল্লাহর জিকির ও কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্বও অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মানসিক শক্তি সঞ্চয়ে উপরোক্ত দোয়া ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More