গুনাহ ও ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া
গুনাহ ও ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া
গুনাহ এবং ঋণ দুটিই মানুষের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। গুনাহের কারণে মানুষকে দুনিয়া-পরকাল দুই জগতেই ভুগতে হবে। গুনাহের জন্য পরকালে যন্ত্রণদায়ক শাস্তি নির্ধারিত। দুনিয়াতেও গুনাহের কারণে মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এরমধ্যে অন্যতম হলো অন্তরের অশান্তি, জীবনে বরকত কমে যাওয়া, ঋণে পতিত হওয়া।
গুনাহ ছাড়াও বেহিসাবি জীবনযাপনও মানুষকে ঋণে পতিত করে। আল্লাহর রাসূল সা. জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সমস্যা সমাধানে একটি দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। এক হাদিসে হজরত আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়াটি পড়তেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ، وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ،
اللَّهُمَّ اغْسِلْ عَنِّي خَطَايَاىَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا،كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’উযুবিকা মিনাল-কাছালি ওয়াল হারামি, ওয়াল-মাছামি, ওয়াল মাগরামি, ওয়া-মিন ফিতনাতিল ক্বাবরি ওয়া-আযাবিল ক্বাবরি,ওয়া-মিন ফিতনাতিন্নারি ওয়া-আযাবিন্নারি, ওয়া-মিন সাররি ফিতনাতিল গিনা, ওয়া-আউযুবিকা মিন ফিতনাতিল ফাক্বরি, ওয়া-আউযুবিকা মিন ফিতনাতি মাছিহিদ্দাজ্জাল।
আল্লাহুম্মাগছিল আন্নি খাতায়ায়্যা-বিমায়িছ-ছালজি ওয়াল-বারাদি। ওয়া-নাক্বি ক্বালবি মিনাল-খাত্বায়া, কামা নাক্বাইতাছ-ছাওবাল-আবইয়াদ্বা-মিনাদ্বানাছি। ওয়া-বাইদ বাইনি ওয়া-বাইনা খাতাইয়ায়্যা কামা-বাআত্ত্বা বাইনাল-মাশরিক্বি ওয়াল-মাগরিব।
সূরা নূহে যে দোয়া বর্ণিত হয়েছে
অর্থ :
ইয়া আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় চাই অলসতা, অতিরিক্ত বার্ধক্য, গুনাহ আর ঋণ থেকে, আর কবরের ফিতনা এবং কবরের আজাব থেকে। আর জাহান্নামের ফিতনা এবং এর আজাব থেকে, আর ধনবান হওয়ার পরীক্ষার মন্দ পরিনাম থেকে। আমি আরও আশ্রয় চাই দারিদ্রের অভিশাপ থেকে। আমি আরও আশ্রয় চাই মসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে।
ইয়া আল্লাহ! আমার গুনাহ এর দাগগুলো থেকে আমার অন্তরকে বরফ ও শীতল পানি দ্বারা ধুয়ে পরিস্কার করে দিন এবং আমার অন্তরকে সমস্ত গুনাহের ময়লা থেকে এমনভাবে পরিস্কার করে দিন, যেভাবে আপনি সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে সাফ করার ব্যবস্থা করে থাকেন। আর আমার ও আমার গুনাহগুলোর মধ্যে এতটা দূরত্ব করে দিন, যত দূরত্ব আপনি দুনিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ৫৯২৮)
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More