সাপোজিটরি ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে?
সাপোজিটরি ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে?
কারো জ্বর, ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্য জটিল পর্যায়ে চলে গেলে এবং এ কারণে যদি কোনোভাবেই মুখে ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব না হয় অথবা রোগী অচেতন হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে সাপোজিটর প্রয়োগ করা হয়।
পায়ুপথে সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। মূলত পায়ুপথের আশপাশে রক্তনালি বেশি থাকে। ফলে সাপোজিটরি দ্রত রক্তে মিশে কাজ করতে পারে এবং জ্বর বা ব্যথা দ্রুত কমাতে পারে।
রোজা রেখে সাপোজিটর ব্যবহারের কারণে রোজা ভঙ্গ হবে কিনা তা নিয়ে আলেমদের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে অগ্রগণ্য মত হল রোজা ভেঙ্গে যাবে। হাদিস শরিফে এসেছে,
ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘কোন কিছু প্রবেশের দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়। বের হওয়ার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয় না।’)সহিহ বুখারি, ১/২৬০) তবে এর কারণে শুধু রোজার কাজা ওয়াজিব হয়। কাফফারা করতে হয় না।
এক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো— রোজা ভঙের কারণ হচ্ছে, স্বাভাবিক প্রবেশপথ দিয়ে পেটে বা মস্তিষ্কে কোনও কিছু প্রবেশ করানো। মলদ্বার এক্ষেত্রে স্বাভাবিক পথের অন্তর্ভুক্ত। এর মাধ্যমে শরীরের ভেতর ওষুধ প্রবেশ করানো হলে রোজা ভেঙে যাবে।
মনে রাখতে হবে, রমজানের রোজার উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীরুতা) অবলম্বন করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৮৩)
পানাহার থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি প্রবৃত্তির তাড়না নিয়ন্ত্রণ করা রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য। রোজার পূর্ণতা অর্জন করতে অহেতুক কথা-কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। একইসঙ্গে রোজা ভঙ্গকারী বিষয়গুলো থেকে দূর থাকতে হবে।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More