Main Menu

স্পেনে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদন

স্পেনে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদন ৷ সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সালে স্পেনে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন এক লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী৷ তাদের বেশিরভাগই লাটিন অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক৷

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এটি স্পেনের ইতিহাসের সর্বোচ্চ আশ্রয় আবেদন৷

এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে এক লাখ ৬৩ হাজার ২১৮টি আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশ্রয় ও রিফিউজি অফিস (ওএআর)৷ সংখ্যাটি তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৩৭ ভাগ বেশি৷

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে আশ্রয় আবেদনের পরিসংখ্যান রাখতে শুরু করেছে স্পেন৷ সেই হিসেবে ২০২৩ সালের মোট আশ্রয় আবেদনের সংখ্যাটি দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ৷

এতে আরো বলা হয়েছে, এই পরিসংখ্যানটি আশ্রয় আবেদনের সংখ্যার হিসাবে স্পেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে নিয়ে এসেছে৷

আশ্রয়প্রার্থীদের অন্তত ৮০ ভাগ লাটিন অ্যামেরিকার নাগরিক৷ ভেনেজুয়েলা থেকে ৬০ হাজার ৫৩৪ জন, কলম্বিয়া থেকে ৫৩ হাজার ৫৬৪ জন ও পেরু থেকে ১৪ হাজার ৩০৬ জন আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন৷

ওএআর আরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ৯২ হাজার ৯৬৩টি আশ্রয় আবেদন যাচাই বাছাইয়ের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়েছে৷ এদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৭১ জন বা ১২ শতাংশ আবেদনকারীকে স্থায়ী সুরক্ষা দেয়া হয়েছে৷ স্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া আশ্রয়প্রার্থীরা হলেন আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, হন্ডুরাস, সিরিয়া, মালি এবং নিকারাগুয়ার নাগরিক৷

মানবিক বিবেচনায় অস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ ৪১ হাজার ৪৭৮ জনকে এই বিবেচনায় অস্থায়ী আশ্রয় মঞ্জুর করেছে স্পেন৷ তাদের বেশিরভাগই ভেনেজুয়েলার নাগরিক৷

এছাড়াও, ৩৩ হাজার ৯২৮ জন ইউক্রেনীয় নাগরিককে অস্থায়ী সুরক্ষা দিয়েছে স্পেন৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর এ পর্যন্ত এক লাখ ৯৫ হাজার ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দিয়েছে দেশটি৷

গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন আশ্রয়নীতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ৷ তিনি বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে আশ্রয়প্রার্থীদের আগমন এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে তার দেশের সক্ষমতা বাড়বে৷

এই আশ্রয়নীতির মধ্যে রয়েছে, অনিয়মিত আগমন ঠেকানোর পদক্ষেপ, ইউরোপের বহিঃসীমান্তে অভিবাসী শিবির তৈরি এবং প্রত্যাখ্যাত আশ্রয়প্রার্থীদের ডিপোর্ট বা জোর করে ফেরত দেয়ার মতো বিষয়গুলো৷ সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *