দায়িত্বশীলদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি সা.
দায়িত্বশীলদের সম্পর্কে যা বলেছেন নবীজি সা.. দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে মানুষকে দেওয়া হয় এক মহান পরীক্ষা। যেকোনো বিষয়ের দায়িত্ব তাই যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করা উচিত। দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে আল্লাহ তায়ালার সামনে জবাবদিহীতা করতে হবে। এজন্য চেয়ে কোনো দায়িত্ব নেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
আব্দুর রহমান ইবনে সামুরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আবদুর রহমান! দায়িত্ব চেয়ো না। কেননা যদি তোমাকে তোমার চাওয়ার কারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা হলে তোমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে দেওয়া হবে। (দায়িত্ব পালনে তুমি আল্লাহর সাহায্য হতে বঞ্চিত হবে।) পক্ষান্তরে যদি তা না চাইতেই তোমাকে দেওয়া হয় তুমি সে বিষয়ে (আল্লাহর পক্ষ হতে) সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।
আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, দুই ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে দায়িত্ব চাইলে তিনি তাদের বললেন, আল্লাহর কসম, আমরা এমন কাউকে কর্মকর্তা নিযুক্ত করব না, যে দায়িত্ব চায় এবং এমন ব্যক্তিকেও নয়, যে দায়িত্ব লাভের আকাক্ষা করে।’ (বুখারি, হাদিস, ৬৬২২)
তবে যোগ্যতার ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ কোনো দায়িত্ব পেলে তা পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং নিজের এর যেন খেয়ানত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এইসঙ্গে দায়িত্বের কারণে যারা নিজের অধীনে থাকবেন তাদের কল্যাণ কামনা, সব রকমের প্রয়োজনের প্রতি সুদৃষ্টি রাখতে হবে।
কারণ দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পাওয়া একটি আমানত। আমানত রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য আমানতগুলো প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দাও’ (সূরা নিসা, আয়াত, ৫৮)।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে আমানত রক্ষা করে না তার ঈমানের দাবি যথাযথ নয় এবং যে অঙ্গীকার পূরণ করে না তার দ্বীন যথাযথ নয়’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস, ১৩১৯৯)।
এজন্য দায়িত্বশীলদের নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। এক হাদিসে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর তোমরা প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। জনগণের আমীরও একজন দায়িত্বশীল সে তার প্রজাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
একজন পুরুষ তার পরিবারস্থ লোকদের ব্যাপারে দায়িত্বশীল সে তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। একজন স্ত্রীলোক তার স্বামীর ঘরের তত্ত্বাবধায়ক সে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। গোলাম তার মালিকের ধন-সম্পদের ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক এতদ্বিষিয়ে সে জিজ্ঞাসিত হবে। শোন তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ২৫৫৪)।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More