Main Menu

জেনে নিন যে যে অবস্থায় সালাম দেওয়া উচিত নয়

ধর্ম ডেস্ক:
মুসলিম সমাজে একে অপরকে অভ্যর্থনা জানানোর অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম প্রদান করা। দেখা-সাক্ষাতে কথাবার্তা শুরুর আগে সালামের মাধ্যমেই মূলত শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সালামের আদেশ দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তোমরা ঘরে ঢুকবে নিজেদের লোকদের সালাম করবে, কারণ এটা সাক্ষাতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত বরকতপূর্ণ ও পবিত্র দোয়া। (সুরা নুর, আয়াত : ৬১)

আরেক আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! নিজ ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না অনুমতি গ্রহণ করো এবং তার বাসিন্দাদের সালাম দাও।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২৭)

সালামের প্রচলন ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলেছেন অভিহিত করেছেন প্রিয় নবী (সা.)। মুসলিমরা জান্নাতে যাওয়ার সময় ফেরেশতারা বলবে, ‘তোমাদের প্রতি সালাম’, তোমরা সুখী হও।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৭৩)

আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার করো, (ক্ষুধার্তকে) খাবার দান করো, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামাজ পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৪-৩২৫১; দারেমি, হাদিস : ১৪৬০)

সাল্লাম দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তবে কিছু কিছু সময় সালাম দেওয়া উচিত, সালাম থেকে বিরত থাকতে হয়। এমন কিছু অবস্থা ও সময়ের কথা তুলে ধরা হলো-

>> কাউকে নামাজরত অবস্থায়।
>> কোরআন তিলাওয়াতকারীকে তিলাওয়াতরত অবস্থায়।

>> মুহাদ্দিসকে হাদিস পাঠদানরত অবস্থায়।
>> খতিবকে খুতবা দানকালে।

>> খুতবা শ্রবণকারীদের।
>>ফিকাহ শাস্ত্রীয় কিতাব পরস্পরে পর্যালোচনার সময়।

>> বিচার অনুষ্ঠান চলাকালে বিচারককে।
>> মুয়াজ্জিনকে আজানরত অবস্থায়।

>> ইকামতরত অবস্থায়।
>> পাঠদানরত অবস্থায় শিক্ষককে।

>> গায়রে মাহরাম যুবতি নারীকে।
>> খেলায় রত যেকোনো ব্যক্তিকে।

>> অমুসলিমকে।
>> লজ্জাস্থান অনাবৃত অবস্থায় থাকা কোনো ব্যক্তিকে।

>> প্রস্রাব-পায়খানারত কোনো ব্যক্তিকে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি না জানার কারণে অন্য কাউকে ইস্তেঞ্জারত অবস্থায় সালাম জানায়, তাহলে ইস্তেঞ্জা থেকে অবসর হয়ে সালামের জবাব দিতে হবে।

>> পানাহারে লিপ্ত ব্যক্তিকে। (তিরমিজি ও আবু দাউদ শরিফ, তাফসিরে মাজহারি ও তাফসিরে জালালাইন, বেহেশতি জেওর, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত, ১২ তম খণ্ড, পৃষ্ঠা, ১১২)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *