তওবাকারীদের সম্পর্কে যা বলেছেন প্রিয়নবী সা.
ধর্ম ডেস্ক:
হজরত আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাকারীগণ উত্তম।’ (ইবন মাজাহ)
হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, মানুষ গুনাহ থেকে মুক্ত নয়। কারণ, মানুষের ভেতর মানবিক দুর্বলতা সৃষ্টিগত। আল্লাহ মানুষকে যেসব কাজ করতে বলেছেন এবং যেসব কাজ না করতে আহ্বান করেছেন তাতে সাড়া না দেওয়া মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হলো। তবে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জন্য তওবার দরজা খুলে দিয়েছেন। আর তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, সবচেয়ে উত্তম গুনাহগার তারাই যারা বেশি বেশি তাওবা করেন।
এই হাদিসের মাধ্যমে এই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, সৃষ্টিগত দুর্বলতার কারণে আদম সন্তানের বৈশিষ্ট্য হলো ভুল করা এবং গুনাহের কাজে জারিয়ে পড়া। কিন্তু যখনই আদম সন্তান কোনো গুনাহ করে ফেলে, তার ওপর ওয়াজিব হলো তাড়াতাড়ি তওবা করা।
আরেক হাদিসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন– ‘সেই মহান সত্তার কসম যার হাতে আমার জীবন! যদি তোমরা পাপ না কর, আল্লাহ তোমাদের নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে (তোমাদের পরিবর্তে) এমন এক জাতি আনয়ন করবেন, যারা পাপ করবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করবে। আর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। -(মুসলিম, ২৭৪৮)
Related News
দান করে ছবি তোলা যাবে? ইসলাম কী বলে
দান করে ছবি তোলা যাবে? ইসলাম কী বলে বিপদ-আপদে মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়ায়, সহযোগিতায় এগিয়েRead More
সামান্য নেক আমলও পরকালে যেভাবে মুক্তি দেবে
সামান্য নেক আমলও পরকালে যেভাবে মুক্তি দেবে একজন মুসলমানের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান পবিত্র গ্রন্থ আলRead More