Main Menu

৮ ভারতীয়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কাতার

আন্তজাতিক ডেস্ক:
গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ভারতের আট সাবেক নৌসেনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কাতারের একটি আদালত। কাতারের গোপন খবর তারা ইসরায়েলকে পাচার করত বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা কাতারের সঙ্গে কথা বলবে। ওই ব্যক্তিদের শাস্তি পরিবর্তনের আবেদনও জানানো হবে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কম্যান্ডার পুর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার বর্মা, কম্যান্ডার সুগুনাকার পাকালা, কম্যান্ডার সঞ্জীব গুপ্তা, কম্যান্ডার অমিত নাগপাল এবং সেলর রাগেশ।

কাতারের একটি বেসরকারি সংস্থা দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটিং সার্ভিসে কাজ করতেন এসব ভারতীয়। সামরিক এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির প্রশিক্ষণের কাজ করে এই সংস্থাটি। এই আট ব্যক্তি ওই সংস্থায় প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ করতেন।

গত বছর আগস্ট মাসে খবর পাচার এবং চরবৃত্তির অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বস্তুত, তাদের গ্রেপ্তারের পরেই কাতারে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে আটজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, কাতারের বিচার ব্যবস্থায় ভারত হস্তক্ষেপ করবে না। সম্প্রতি কাতারের আদালত ওই ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তারপরেই ফের সরব হয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ”কাতারের আদালতের রায় শুনে আমরা বিস্মিত। এখনো বিস্তারিত রায়ের কপি আমরা হাতে পাইনি। ওই আট ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কী কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

এদিকে কাতারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথাও বলা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। জানানো হয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আছে, তা-ও এখনো স্পষ্ট নয়। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য কাতার ভারতকে দেয়নি। ফলে কাতারের কাছে সেই তথ্য চেয়ে পাঠাতে পারে ভারত।

এদিকে এই ঘটনার পর ভারতের বিভিন্ন মহলে আলোড়ন উঠেছে। প্রবীণ রাজনীতিক এবং আইনজীবী কপিল সিবল একটি লম্বা বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত। কপিলও জানিয়েছেন, ওই আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ কী কী তা অস্পষ্ট। বিষয়গুলি দ্রুত জনসমক্ষে আসা উচিত। আর সে জন্যই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ জরুরি।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *