রাসূল সা.-এর চোখের প্রশান্তি যে কাজে
ধর্ম ডেস্ক:
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরো জীবন উম্মতকে আল্লাহর আদেশ নিষেধ জানিয়েছেন, ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা ও কাজের মাধ্যমে উম্মমতকে আল্লাহর বিধান মেনে চলার প্রতি আগ্রহী করেছেন তিনি।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে মানুষেরা! আমি তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসূল পাঠিয়েছি। যে তোমাদের কাছে আমার আয়াত (কোরআন) পাঠ করে শোনায়, তোমাদের জীবন পরিশুদ্ধ করে, তোমাদের কিতাব ও হিকমত (কোরআন ও বিজ্ঞান) শিক্ষা দেয় এবং তোমরা যে বিষয়ে কিছুই জানতে না, সেটা শিক্ষা দেয়।’ (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৫১)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি মুয়াল্লিম (শিক্ষক) হিসেবে (দুনিয়ায়) প্রেরিত হয়েছি’। (দারিমী)
ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ আদায়ের প্রতি সবসময় রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। নামাজ আদায়ে অবহেলাকারীদের সর্তক করতে বিভিন্ন সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুঁশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছেন।
এক হাদিসে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার প্রাণ যার হাতে, তার কসম করে বলছি! অবশ্যই আমি সংকল্প করেছি, আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দেব, তারপর আমি নামাজের হুকুম দেব এবং এ জন্য আজান দেওয়া হবে, তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করব সে লোকদের নামাজ পড়াবে। এরপর আমি ওই লোকদের দিকে যাব, যারা জামাতে হাজির হয়নি। এবং তাদের বাড়িঘর তাদের সামনেই জ্বালিয়ে দেব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস, ২৪২০)
ফজরে উঠতে না পারার কারণ নিয়ে যা বলেছেন মহানবী সা.
মহানবী সা. সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখতেন যে কারণে
মহানবী (সা.) ‘আল আমীন’ উপাধি পেয়েছিলেন যেভাবে
আল্লাহর রাসূল উম্মতকে শুধু শাস্তির কথাই বলেননি, অনেক সময় নামাজে আগ্রহী করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন। জানিয়েছেন নামাজ কীভাবে মানুষের গুনাহ ক্ষমা করে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-
(তোমাদের কী মনে হয়?) কারো বাড়ির পাশে যদি নদী থাকে আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচ বার গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা থাকবে? সাহাবায়ে কেরাম উত্তরে বললেন, না, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। নবীজী তখন বললেন- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্তও এমন। এর মাধ্যমে আল্লাহ (বান্দার) পাপসমূহ মুছে দেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬৬৭; সহীহ বুখারী, হাদীস ৫২৮)
নামাজের প্রতি আগ্রহী করতে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের দুনিয়া থেকে আমার কাছে তিনটি জিনিস অধিক প্রিয়। নারী, সুগন্ধি আর আমার চোখ শীতল হয় নামাজের মাধ্যমে’ (নাসায়ি, হাদিস, ৩৯৩৯)।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More