Main Menu

বাংলাদেশিসহ ৩৪৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে

নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশিসহ ৩৪৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে ইতালির দক্ষিণের ছোট্ট দ্বীপ লাম্পেদুসায় পৌঁছেছে আরেকটি নৌকা৷ এরপরও স্বস্তিতে আছে সরকার৷ কারণ, অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে নেয়া উদ্যোগগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন জর্জা মেলোনির সরকার।

দেখা গেছে, চলতি বছর এই অক্টোবরে সবচেয়ে কমসংখ্যক অভিবাসী এসেছেন ইতালিতে। বুধবার রাতে কয়েকশ মানুষকে নিয়ে একটি মাছ ধরার নৌকা দ্বীপে পৌঁছায়৷

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৫ মিটার লম্বা নৌকাটিতে ৩৪৭ জন মানুষ গাদাগাদি করে ছিলেন৷ লিবিয়ার জুয়ারা থেকে যাত্রা করেছিল নৌকাটি৷ সেখানে বাংলাদেশি ছাড়াও মিশর, পাকিস্তান ও সিরিয়ার নাগরিকেরা ছিলেন৷ ৩৪৭ জনের মধ্যে মাত্র দুই জন নারী, বাকিরা সবাই পুরুষ৷ তবে নৌকাটিতে কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, সেই সংখ্যাটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

বুধবার রাতে লাম্পেদুসায় আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বলেছেন, জোয়ারা থেকে লাম্পেদুসা পর্যন্ত এ যাত্রার জন্য তাদের প্রত্যেককে পাচারকারীদের হাতে আট হাজার ইউরো করে দিতে হয়েছে৷ বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দশ লাখ টাকার সমপরিমাণ৷

সমুদ্র অনুপযোগী নৌকায় জীবনের ঝুঁকি জেনেও মানব পাচারকারীদের হাতে বিপুল অর্থ তুলে দেয় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা৷ দশ বছর আগে এই অক্টোবরেই, লাম্পেদুসার কাছে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় শত শত অভিবাসী মারা গেছেন৷

অভিবাসী আসা কিছুটা কমেছে

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লাম্পেদুসার অভ্যর্থনাকেন্দ্রে এখন ৩৫৬ জন অভিবাসী আছেন৷ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যারা এই দ্বীপে আসেন তাদের দ্রুত সিসিলিতে বা ইতালির মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তর করা হয়৷

গত মাসে, অভিবাসীদের উপচে পড়া ভিড়ে লাম্পেদুসায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ বিপুলসংখ্যক অভিবাসী আসা শুরু করলে ইতালির সঙ্গে থাকা সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স এবং জার্মানি৷ ওইসময়ে মাত্র একদিনে এসেছিলেন পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসী৷ তাদের বেশিরভাগই আসেন তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে৷

তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ইটালির ছোট্ট দ্বীপ লাম্পেদুসা দূরত্ব মাত্র ১০০ নটিক্যাল মাইল (১৮৫ কিলোমিটার)৷ ফলে, আফ্রিকা থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে লাম্পেদুসা হলো ইউরোপে ঢোকার প্রথম পয়েন্ট৷

অনিয়মিত অভিবাসীদের ইতালির ঢোকা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি৷ বুধবার তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্টোবরে অভিবাসী আসার সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে৷

তিনি বলেন, ‘সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কাজে দিতে শুরু করেছে৷’

এদিকে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নৌকায় চেপে ইতালি পৌঁছেছেন৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *