Main Menu

ফেরত পাওয়ার আশা নেই, এমন টাকার জাকাত দিতে হবে?

ধর্ম ডেস্ক:
জাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান এবং ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। জাকাত বিত্তবানদের সম্পদ পরিশুদ্ধ করে, দারিদ্র্য মোচন করে, উত্পাদন বৃদ্ধি করে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করে ও সমাজে শান্তি আনে।

জাকাত আদায় সম্পর্কে এক হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মিসকিনকে জাকাত দেওয়া সদকা। আর আত্মীয়কে দেওয়া সদকা ও আত্মীয়তার হক আদায়।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৭৯৪; সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৫৮২)

জাকাত আদায়ে গড়িমসি বা জাকাত আদায় না করলে পরকালে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

‘এবং যারা সোনা ও রুপা জমা করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, আপনি তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দিন, যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে, অতঃপর তা দিয়ে তাদের কপালে, পার্শ্বদেশে ও পিঠে সেঁক দেওয়া হবে। (আর বলা হবে) এটা তা-ই, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমরা যা জমা করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ করো।’ (সূরা তাওবা, আয়াত, ৩৪-৩৫)

কারো কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ অর্থাৎ, সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রূপা থাকলে এবং এই পরিমাণ সম্পদ মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলে এবং কারো কাছে এই পরিমাণ সম্পদ এক বছর থাকলে তার ওপর জাকাত ফরজ।

তবে কেউ যদি কোনো ব্যক্তিকে নিজের উপার্জিত টাকা বা সম্পদ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার দেয় এবং পরবর্তীতে এই টাকা আর পাওয়ার কোনো সম্ভাব না থাকে তাহলে এই সম্পদের জাকাত দিতে হবে কিনা এ বিষয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে।

এ বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, বাস্তবে যদি এই টাকা আর না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেই টাকার জাকাত দিতে হবে না। তবে পাওয়ার সম্ভবনা থাকলে ওই টাকার হিসাব রাখতে হবে এবং টাকা হস্তগত হলে বিগত বছরগুলো অর্থাৎ যে কয়েক বছর জাকাতের টাকা হাতে পাওয়া যায়নি সে বছরগুলোর জাকাতের হিসেবের সঙ্গে এই টাকা যুক্ত করে আদায় করতে হবে। ( ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/১৭৪, ফাতহুল কাদির, ১/ ১৭৬)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *