বছরে ২ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী কর্মী দরকার ইতালির

নিউজ ডেস্ক:
ইতালিতে ক্রমশ বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ায় শ্রমবাজারে কর্মীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শ্রমবাজারে কর্মীর ঘাটতি মেটাতে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বছরে কমপক্ষে ২ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসী কর্মী দরকার হবে ইতালির।
আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর ইনফো মাইগ্রেন্টসের।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের শেষদিকে ২০২৩ সালের ইমিগ্রেশন পরিসংখ্যানের দলিল-দস্তাবেজ প্রকাশ করবে গবেষণা সংস্থাটি। এর আগেই তারা জানিয়েছে, ইতালিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মক্ষম শ্রমিক হ্রাস পাবে।
২০৫০ সাল নাগাদ সেই সংখ্যা ৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেসময় পর্যন্ত শ্রমবাজারে ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছর ২ লাখ ৮০ হাজার কর্মী প্রয়োজন হবে ইতালির।
আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চে দাবি করেছে, ইতালি সরকারের একগুঁয়ে পলিসির কারণে গত ১২ বছর ধরে ইতালিতে বিদেশি কর্মীরা সেভাবে ঢুকতে পারেননি। ফলে ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশটিতে শ্রমশক্তির সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে।
এতে জাতীয় অর্থনীতিতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি জনমিতির স্থিতাবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
ইতোমধ্যে শ্রমিক সংকট কাটাতে নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইতালি সরকার। এ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১ লাখ ৩৬ হাজার, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২৫ সালে ১ লাখ ৬৫ হাজার বিদেশি অভিবাসনের সুযোগ দেবে তারা।
সর্বোপরি, ইতালিতে আয়ের ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে। দেশটিতে প্রবাসীদের চেয়ে বেশি বেতন পান স্থানীয় নাগরিকরা। সেই পার্থক্য কমিয়ে আনতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আইডিওএস সেন্টার অব স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ।
গবেষণা সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট লুসা ডি সিউলো বলেন, ইতালিতে স্থানীয় ব্যক্তিদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে। তরুণ ও যোগ্য লোকজন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিদেশিরা প্রবেশ করতে পারছেন না। ফলে দেশটির উৎপাদন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছেটি।
Related News

পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর ঋণ দেওয়া কেন ঠেকাতে পারেনি ভারত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ গত সপ্তাহে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ (সহায়তাRead More

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More