Main Menu

নিউ ইয়র্কে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি কাজী হাসান

নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি নিউ ইয়র্ক কারেকশন অফিসার কাজী হাসান। সম্প্রতি কুইন্সের ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ম্যারিনা বেঙ্কুইট হলে অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ন্যাশনস ইন কারেকশন ইনক (এএএনসি) আয়োজিত বার্ষিক নৈশভোজ ও অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

মহামারী করোনার সময় বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবায় নেতৃত্ব প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

এএএনসির পক্ষ থেকে তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ডেপুটি ওয়ারেন মারাজ। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি এডেনিয়া এডেসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্ক কারেকশন বিভাগের কমিশনার লুইস এ মলিনা। এছাড়াও সিটির বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারাসহ পাঁচ শতাধিক কারেকশন অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটির (বিসিএস) উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কারেকশন অফিসার ইকবাল সাইফুদ্দীন জানান, অফিসার হাসান গোপালগঞ্জেলার কাশিয়ানী থানার তারাইল গ্রামের কাজী ইদ্রিস হোসেন ও আরজু বেগমের জ্যেষ্ঠ পুত্র। গত ৬ বছর ধরে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক কারেকশন অফিসার হিসেবে কাজ করে আসছেন। এর আগে নিউ ইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব হোমলেস সার্ভিসেসে (ডিএইচএস) পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি ২০১৮ সালে কারেকশন বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের নিয়ে বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটি (বিসিএস) গড়ে তোলেন। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দুই শতাধিক সদস্যের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রচার করা, সদস্যদের বিভাগের নীতি এবং নিয়ম সম্পর্কে অবগত করা এবং আরও বাংলাদেশি অফিসার নিয়োগে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

কাজী হাসান বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত এবং বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়। করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় বিভিন্ন জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং নির্ভীকতার জন্য সর্বমহলে প্রশংসিত হন তিনি। হাসান এক ছেলে, এক মেয়েসহ সস্ত্রীক ব্রংঙ্কসে বসবাস করেন।

অ্যাওয়ার্ড পেয়ে উচ্ছ্বসিত কাজী হাসান বলেন, এ সম্মাননা পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। কমিউনিটিকে সেবা করা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি একটি অনন্য সুযোগ যা আমাকে সহানুভূতি, ধৈর্য, শক্তি এবং সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব বিকাশে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। আমি মেয়র এরিক এডামসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য।

নিউ ইয়র্ক সিটি কারেকশন কমিশনার লুইস মলিনা কারেকশন বিভাগে আরও বাংলাদেশি নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিভাগে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করে কারেকশন বিভাগে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন বলে কাজী হাসান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ন্যাশনস ইন কারেকশন ইনককে (এএএনসি) এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তথ্যসূত্র: সিকান্দর হক, নিউ ইয়র্ক থেকে






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *