ইস্তেগফারের ফজিলত

নিউজ ডেস্ক:
প্রতিদিন বুঝে না বুঝে নিজের অজান্তে অসংখ্য ভুল করে বসে মানুষ। অধিকাংশ সময় জেনে-বুঝেই শুধুমাত্র কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে পাপ করে ফেলে মানুষ। তবে আল্লাহ তায়ালা পাপাচারে লিপ্ত বান্দার জন্য ক্ষমার দুয়ার খোলা রেখেছেন সবসময়। তাই মানুষ যতো ভুলই করুক না কেন, অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই তিনি ক্ষমা করবেন।
কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এবং আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তাওবা করে, ঈমান আনে, সৎকর্ম করে ও সৎপথে অবিচল থাকে।’ (সূরা ত্বহা, আয়াত, ৮২)
আরেক আয়াতে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে।’ (সূরা নিসা, আয়াত, ১১০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের কোনো গুনাহ ছিল না। তিনি ছিলেন নিষ্পাপ। এরপরও তিনি দিনে-রাতে প্রচুর পরিমাণ ইস্তেগফার পাঠ করতেন। আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে দোয়া করতেন।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামকে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর কসম! আমি প্রত্যহ আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তেগফার ও তাওবা করে থাকি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৬৩০৭)
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করে আল্লাহ তায়ালা তার সব সংকট থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা করে দেন, তার সব পেরেশানী দূর করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস, ১৫১৮)
ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত লাভ করা যায়। ইস্তেগফারের ফজিলত সম্পর্কে কোরআনে করিমে এসেছে, ‘(ইস্তেগফারের ফলে) তিনি (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি সুষম বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। আর তোমাদের সম্পদে প্রাচুর্য ও সমমানের বরকত দেবেন এবং তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা পানির ফোয়ারায় শোভিত করবেন। (সূরা নুহ, আয়াত, ১১-১২)
মোটকথা, তাওবা ও ইস্তেগফার মুমিন ও মুত্তাকীদের এক বিশেষ গুণ। মানুষকে আল্লাহ তাআলা তার ইবাদত-বন্দেগী ও তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলার জন্য সৃষ্টি করেছেন।
কিন্তু মানুষ শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করে বসে, আল্লাহ তায়ালার হুকুম মেনে চলার ক্ষেত্রে ভুল করে, তাই আল্লাহ তায়ালা তার সে ভুল বা গুনাহ থেকে মুক্তি দানের জন্য তওবা ও ইস্তিগফারের ব্যবস্থা রেখেছেন।
তওবা ও ইস্তিগফার একজন মুমিনকে নিষ্পাপ ও নিষ্কলুষ জীবন দান করে। মুমিনকে সবসময় গুনাহমুক্ত জীবনের প্রতি করে অনুপ্রাণিত।
সর্বোপরি তওবা ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে একজন মুমিনের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন সুন্দর ও সফল হয়। এর মাধ্যমে একজন মুমিন লাভ করে উভয় জাহানের সমৃদ্ধি।
Related News

মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More

যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More