Main Menu

বাংলাদেশি ও ভারতীয় অভিবাসী পাচার: রোমানীয় নাগরিকের কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আসা অভিবাসীদের পাচারে জড়িত থাকার দায়ে রোমানিয়ার এক নাগরিককে ৬ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির এক আদালত। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিবাসী পাচার ও লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

১ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ৷

বিবৃতিতে বলা হয়, মানবপাচারের দায়ে আরাদ কাউন্টির আদালতের দেয়া সর্বোচ্চ সাজা এটি৷আরাদ রোমানিয়া-হাঙ্গেরি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ শহর৷ অভিবাসীরা এ অঞ্চল হয়ে শেঙেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷

৪৮ বছর বয়সি রোমানীয় এই নাগরিককে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আরাদ কাউন্টির নাদলাক ২ বর্ডার পয়েন্ট থেকে আটক করা হয়েছিল৷ ওই সময় রোমানিয়া ছেড়ে যেতে সীমান্তের আনুষ্ঠানিকতার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন৷

তিনি রোমানিয়া-হাঙ্গেরি রুটে ভ্রমণ করছিলেন বলে তথ্য দিয়েছিলেন৷ কিন্তু গতিবিধি সন্দেহ হলে সীমান্ত পুলিশের দুই জন কর্মকর্তা একটি প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে গাড়িটি তল্লাশি করেন৷ ডগ স্কোয়াডের কুকুরটি গাড়ির পেছনে মানুষের অস্তিত্ব থাকার সংকেত দেয়৷

তাৎক্ষণিক গাড়িটি খোলার সিদ্ধান্ত নিলে ভেতরে থাকা ১০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে খুঁজে পায় পুলিশ৷ তদন্তের পর জানানো হয়, ২২ থেকে ৪৯ বছর বয়সি অভিবাসীদের সবাই বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিক৷ তারা রোমানিয়া থেকে ইটালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন৷ চালকের কাছে কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না৷ তিনি বেআইনিভাবে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন৷

১০ অভিবাসীকে রোমানিয়ার মুরেস উপত্যকা থেকে গাড়িতে তুলেছিলেন ওই রোমানীয়৷ প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভ্রমণের পর সীমান্তে পৌঁছান তিনি৷ জনপ্রতি এক হাজার ইউরোর চুক্তিতে অভিবাসীদের গাড়িতে তুলেন তিনি৷
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আরাদ বর্ডার পুলিশের টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের কাছে হস্তান্তর করে বিচারিক তদন্ত শুরু করা হয়েছিল৷

আদালত অভিযুক্তকে অভিবাসী পাচারের দায়ে পাঁচ বছর এবং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে এক বছর ছয় মাস সাজা দেয়া হয়৷

২০২১ সাল থেকে মানবপাচার ও অভিবাসীদের বেআইনি সীমান্ত অতিক্রম নিয়ে সক্রিয় রোমানীয় কর্তৃপক্ষ৷ চলতি বছরের জুলাইয়ে রোমানিয়ার অভিবাসন পুলিশ অন্তত ২০০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৫১ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানিয়েছে রোমানিয়া অভিবাসন কর্তৃপক্ষ৷

ইউরোপের অবাধ চলাচলের জন্য খ্যাত শেঙেন জোনের সদস্য হতে মরিয়া দেশটি৷ এ লক্ষ্যে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইইউর মানদণ্ড পূরণ করতে চায় বুখারেস্ট৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *