রোমানিয়ায় আটক আন্তঃদেশীয় পাচার চক্রের ৫ সদস্য
নিউজ ডেস্ক:
আন্তঃসীমান্ত অপরাধ চক্র ও অভিবাসী পাচারে জড়িত চক্রের সন্ধানে রোমানিয়ার তিমিস ও আরাদ কাউন্টির পাঁচটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে দেশটির সীমান্ত পুলিশ। জুনে আটক হওয়া পাচারকারীদের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোমানিয়া বর্ডার পুলিশ।
এতে বলা হয়, তিমিস অঞ্চলের বর্ডার পুলিশের টেরিটোরিয়াল সার্ভিস, সংগঠিত অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ তদন্তে গঠিত অধিদপ্তর, সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিচার বিভাগীয় দপ্তরের সমন্বয়ে আন্তঃসীমান্ত এবং অভিবাসী পাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিমিস ও আরাদ কাউন্টির মোট ছয়টি বাড়িতে অভিযান চালানোর কথা থাকলেও পাঁচটি বাড়িতে অভিযান চালাতে পেরেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ৭ জুন আটক হওয়া ১০ আসামী এবং আট জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে চলমান মামলার তদন্তের মেয়াদ বাড়ানোর পরে নতুন এই অভিযানের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল।
২০২২ সাল থেকে চলতি বছরের মধ্যে রোমানিয়া এবং তুরস্কের কিছু সংখ্যক নাগরিকের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, সংগঠিত আন্তঃদেশীয় চক্রটি তুর্কি এবং সিরীয় নাগরিকদের তুরস্ক-বুলগেরিয়া/সার্বিয়া-রোমানিয়া-জার্মানি রুটে পাচারে জড়িত।
চক্রটি রোমানিয়ার নাগরিকদের সহায়তায় দেশটির ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক সেল স্থাপন করেছিল। এর মাধ্যমে অভিবাসীদের রোমানিয়ার দক্ষিণ সীমান্ত (বুলগেরিয়া এবং সার্বিয়া) থেকে অনিয়মিত পারাপারে ভূমিকা রাখত।
তারা রোমানিয়া ভূখণ্ডে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আসা অভিবাসীদের শেঙেন সীমান্তে পাচারের লক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে রোমানিয়ার পশ্চিম অংশের বিভিন্ন স্থানে রেখেছিল। যার উদ্দেশ্য প্রতারণামূলকভাবে রোমানিয়া এবং হাঙ্গেরির মধ্যবর্তী সীমান্ত অতিক্রম করে সংশ্লিষ্টদের চূড়ান্ত গন্তব্য জার্মানি পৌঁছে দেয়া।
তুরস্ক, জার্মানি এবং সার্বিয়া ভিত্তিক সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর হোতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে রোমানিয়ায় অপরাধী সেলগুলো স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছিল।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য স্থানীয় প্রতিনিধি হিসাবে বেশ কিছু ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যাদের সবাই রোমানিয়ার নাগরিক। এসব ব্যক্তিরা স্বল্প সময়ের মধ্যে বিপুল অবৈধ মুনাফার আশায় সংগঠিত অপরাধ চক্রে যোগ দিয়েছিলেন এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের নিজস্ব পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন।
চক্রটি অভিবাসীদের তিমিসোয়ারা এবং আরাদ অঞ্চলের বিভিন্ন ভাড়া করা জায়গায় রাখতেন। সেখান থেকে জার্মানিতে পাচারের উদ্দেশে পেশাদার চালকদের ব্যবহার করতেন, যারা পণ্য পরিবহণের নামে সীমান্ত এলাকায় অভিবাসীদের পাচারে যুক্ত।
অভিযানের সময় নাদলাক এবং টার্নু বর্ডার পয়েন্ট থেকে চারটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
জার্মানি, সার্বিয়া এবং রোমানিয়া কর্তৃপক্ষের যৌথ তদন্ত চুক্তির ভিত্তিতে পুরো কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে আটক হওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আদালতে শুনানির জন্য তোলা হবে।
রোমানিয়ান জেন্ডারমেরির বিশেষ ব্রিগেডের সহায়তায় সবগুলো অভিযান সমন্বয় করা হয়। এছাড়া দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইজিপিআরের স্পেশাল অপারেশন ডিরেক্টরেট দল বিশেষ সহায়তা দিয়েছে।
সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, এসব ব্যক্তিদের ফৌজদারি প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কার্যবিধি অনুযায়ী আইনি অধিকার এবং যাবতীয় সুবিধা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আইনের ব্যতয় ঘটবে না। অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে সব ধরনের বৈধ আইনি উদ্যোগ নিতে পারবেন।
Related News
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More
যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় সিলেটির মৃত্যু
যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় সিলেটির মৃত্যু যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শহরে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়ে কাহেরRead More