ঝড়-বৃষ্টির কারণে মসজিদে না গিয়ে বাড়িতে নামাজ পড়া যাবে?
ধর্ম ডেস্ক:
আজান শুনে নামাজের জামাতে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কী মর্যাদা আছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তাহলে তা পাওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারি করত। দুপুরের নামাজের যে মর্যাদা আছে তা যদি তারা জানতে পারত, তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। এশা ও ফজরের নামাজের মধ্যে যে (তাদের জন্য) কী মর্যাদা রয়েছে, তা যদি জানতে পারত, তাহলে তারা হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও এসে নামাজে উপস্থিত হতো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৭)
জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫, মুসলিম, হাদিস : ৬৪০)
তবে প্রচণ্ড বৃষ্টি, মহামারি বা শীত বা মারাত্মক অসুস্থতার কারণে মসজিদে না গিয়ে ঘর-বাড়িতেও নামাজ পড়া যাবে- এ বিষয়ে সব আলেমরা একমত।
হজরত নাফি (রহ.) বর্ণনা করেন, প্রচণ্ড এক শীতের রাতে হজরত ইবনে ওমর (রা.) ‘জাজনান’ নামক স্থানে আজান দিলেন। এরপর তিনি ঘোষণা করলেন- ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ অর্থাৎ তোমরা আবাসস্থলেই নামাজ আদায় করে নাও।’ পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বললেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে সালাত আদায় কর।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)।
এ হাদিসের আলোকে এ কথা প্রমাণিত হয় কোনও অঞ্চলে প্রচণ্ড বৃষ্টি হলে বা বন্যা-ভূমিধ্বস দেখা দিলে মসজিদে না গিয়ে ফরজ নামাজ বাড়িতে পড়তে ইসলামে কোনো বাধা নেই। এ সময় মসজিদে না গিয়ে সতর্কতামূলক ঘরে জামাতে নামাজের ব্যাপারে বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতিরাও ফতোয়া দিয়েছেন।
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More