Main Menu

ভারতের দক্ষ কর্মীদের কাছে টানছে জার্মানি

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
শিল্পখাতে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি পূরণে অভিবাসীদের নিজেদের শ্রমবাজারে যুক্ত করতে চায় ইউরোপের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ জার্মানি৷ তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন খাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের দক্ষ কর্মীদের কাছে টানতে চাইছেন জার্মানির শ্রমমন্ত্রী হুবার্টুস হাইল৷

শুধু তাই নয়, দীর্ঘ মেয়াদে ভারত থেকে আসা অভিবাসী কর্মীদের জার্মান সমাজে একীভূত করার পরিকল্পনার কথাও অকপটে জানালেন তিনি৷

জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার ডয়চে ভেলের দিল্লি ব্যুরোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি উইন-উইন-উইন অবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই৷’’

হাইল বলেন, আমরা এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে চাই ‘‘যে দেশের কর্মীদের আমরা নিয়ে আসব, সেই দেশ যেন লাভবান হয়৷ এজন্য আমরা (ভারত) সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি৷ একইসঙ্গে এর মধ্য দিয়ে জার্মানিও যেন উপকৃত হয়, সেদিকটাও আমরা বিবেচনায় রেখেছি৷’’

শ্রমমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জার্মানিতে কর্মী হিসেবে যিনি আসবেন, তিনিও যেন লাভবান হতে পারেন৷ আমরা তাদের সঙ্গে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে চাই৷’’

উদাহরণ হিসেবে জার্মানিতে নার্স সংকটের কথাটি তুলে ধরেন হাইল৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মানিতে আমাদের নার্সের প্রয়োজন রয়েছে৷ কিন্তু যে দেশ নার্স সংকটে ভুগছে, সেই দেশ থেকে আমরা নার্সদের নিয়ে যেতে পারি না৷

‘‘কিন্তু ভারতের কিছু অঞ্চল আছে যেখানে অনেক নার্স চাকরি পাচ্ছেন না৷ সেসব অঞ্চল থেকে যদি আমরা নার্সদের চাকরি দিয়ে নিয়ে আসি, তাহলে সেটা ভারতের জন্যও লাভজনক হবে৷’’

অভিবাসন ইস্যুতে অতীতের ভুল থেকে জার্মানি শিক্ষা নিয়েছে বলেও জানান হাইল৷

১৯৬০ এর দশকে নিজেদের শ্রম ঘাটতি দূর করতে তুরস্ক থেকে কর্মী আনতে অভিবাসনকে উৎসাহিত করেছিল পশ্চিম জার্মানি৷ কারণ, ওই সময় জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে রাখতে জার্মান শ্রমবাজারে পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাব ছিল৷ কিন্তু তুরস্ক থেকে আসা সেই কর্মীরা ‘গাস্টারবাইটার’ বা ‘অতিথি কর্মী’ হিসেবে জার্মান সমাজে পরিচিতি পায়৷ তাদের অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে জার্মানিতে বসতি গড়ে৷

হাইল বলেন, ‘‘আমরা ওই সময় ভুল করেছি৷ আমরা কর্মী চেয়েছিলাম, কিন্তু পেয়েছি মানুষ৷’’

জার্মানির বর্তমান সরকার দক্ষ কর্মীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই তারা আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখুক এবং আমাদের সমাজে একীভূত হোক৷’’

বর্তমান বিশ্বে অভিবাসন প্রক্রিয়া ন্যায্যতার ভিত্তিতে হওয়ার উচিত বলেও অভিমত জার্মান শ্রমমন্ত্রীর৷

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা জার্মানির একটি বড় সংকট বলে মনে করেন অনেকেই৷ সম্প্রতি অভিবাসন আইন সংস্কারে দেশটির সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেখানে এই বিষয়টি সহজ করার কথাও ভাবা হচ্ছে৷ এমনকি, একজন অভিবাসীর নিজ দেশে অর্জিত যোগ্যতাকে জার্মানিতেও স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷

শ্রমমন্ত্রী হাইল বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পেরেছি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আমাদের কমাতে হবে৷’’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *