Main Menu

যুক্তরাষ্ট্রে শামীম ওসমানকে হেনস্তা, নোয়াখালীতে অভিযুক্তের বাড়িতে বিক্ষোভ-ভাংচুর

নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র সফররত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে হেনস্তার চেষ্টা চাালানো সাবেক ছাত্রদল নেতার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিক্ষোভ-ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের আমকি গ্রামের আমকি মিয়া বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।

অভিযুক্ত বাদল মির্জা (৩৬) একই গ্রামের আবু বাহারের ছেলে এবং সে সোনাইমুড়ী উপজেলা ও জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন।

জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আকবর পলাশ জানান, বাদল ৮-১০ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায়। সেখান থেকে সে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টা চালানো সাবেক ছাত্রদল নেতা বাদলের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানার পরপরই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। সকালের দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের ১০-১৫জন নেতাকর্মী বাদলের বাড়িতে বিক্ষোভ করে ভাংচুর চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সময় বাদলের পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলনা।

সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, বাদল দেশে থাকতে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়ন ছাত্রদলের অন্যতম নেতা ছিল। ওই সময় সে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরে সরকার পরিবর্তন হলে সে জনগণের রোষানলে পড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে হেনস্তার চেষ্টার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। পরে তার বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে তার শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয়।

ওই সময় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তবে এই ছাত্রলীগ নেতা ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাংচুরের অভিযোগ নাকচ করে দেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ১২ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। তিনি একটি কালো রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি নেতা রাব্বী, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা বাদল মির্জাসহ কয়েকজন যুবক ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেয়। এরপর তারা সেখানে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরে যার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *