Main Menu

আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসা পেলেন কুলাউড়ার যমজ বোন

নিউজ ডেস্ক:
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : শিক্ষাক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসা’ পেলেন প্রবাসী বাংলাদেশি দুই যমজ বোন। তাদের নাম রাহমা মুক্তার প্রমী (২১) ও রাহিমা মুক্তার হিমি (২১)। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পলকি গ্রামে তাদের পৈত্রিক বাড়ি। রাহমা ও রাহিমার বাবা মোহাম্মদ মুক্তার মিয়া ৪২ বছর ধরে আমিরাত ট্রান্সপোর্টে কাজ করেন। মা উম্মে আসমা একজন গৃহিণী।

বুধবার আমিরাতের ফেডারেল অথোরিটি ফর আইডেন্টিটির সিটিজেনশিপ অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি বিভাগ তাদের কাছে ভিসার দলিল পাঠায়। নবায়নযোগ্য এ ভিসার মেয়াদ দশ বছর।

আরব আমিরাতের ফুজিরায় বসবাসকারী প্রবাসী আবুল কালাম রাসেল মুঠোফোনে বলেন, আবুধাবিতে জন্ম নেওয়া তার দুই মেয়ে রাহমা ও রাহিমা ফুজিরা প্রদেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসাফি গার্লস স্কুল ফর বেসিক অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন থেকে এবছর অনুষ্ঠিত স্থানীয় অ্যাডভান্স এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। আরবি ভার্সনে তারা যথাক্রমে ৯৭.৫১% ও ৯৭% নম্বরসহ জিপিএ প্লাস পায়। এর আগে এসএসসিতেও তারা ভালো ফলাফল করে। তারা গোল্ডেন ভিসা পেয়েছে এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

তাদের মা উম্মে আসমা বলেন, আশপাশে অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় আরবি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি দুই মেয়ের। তারপর বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ১৪ বছর পড়াশোনার পর তারা গ্রাজুয়েশন শেষ করেছে। আমার কাছে কিছু বাংলা শেখা ছাড়া তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আরবি মাধ্যমেই হয়েছে।

রাহমা ও রাহিমা জানান, তারা দুজনই ভবিষ্যতে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করে দেশে এসে সেবা দিতে আগ্রহী।

এদিকে, মৌলভীবাজারের পলকি গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমাদের এলাকার মেয়েরা প্রবাসে সুনাম কুড়িয়েছে। আমরা গর্বিত।

দুবাইয়ের শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ২০১৯ সালে গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসা চালু করেন। এর আওতায় প্রাথমিকভাবে ছিলেন করোনাভাইরাস মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজকরা ফ্রন্টলাইনার স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক। পরে বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফল করা শিক্ষার্থী, ক্রীড়া তারকাসহ বিভিন্ন পেশাদারদের এ ভিসার মাধ্যমে আমিরাতে দশ বছর বসবাসের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

নবায়নযোগ্য এ ভিসা পাওয়া যে কেউ চাইলে তাদের অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যদের সংযুক্ত আমিরাতে এনে রাখতে পারবেন। গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসাধারী কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলেও তার পরিবারের সদস্যরা এখানে বসবাসের বৈধতা পাবেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *