Main Menu

বাস-ট্রেনে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়া যাবে?

ধর্ম ডেস্ক:
প্রয়োজনের তাগিদে মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় সফর করতে হয়। অনেক সময় দূর পাল্লার যাত্রায় বাস-ট্রেনে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সফর করতে হয়। যাত্রা দীর্ঘ হলে নামাজের সময় বিপাকে পড়তে হয়। সবসময় পরিবহন কর্তৃপক্ষ নামাজের জন্য আলাদাভাবে সময় দেন না, আবার ট্রেনের সফরে চলতি পথে বিরতি দেওয়াও সম্ভব হয় না অনেক ক্ষেত্রে।

তবে যদি পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নামাজের জন্য বিরতি নেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য যাত্রা বিরতি দিয়ে নামাজ পড়ে নিতে হবে। আর যদি যানবাহান থামানো না যায় কিংবা যানবাহন থেকে নামলে সঙ্গী ও বাস চলে যাওয়ার এবং পরবর্তীতে সে বাসে আর উঠতে না পারার আশঙ্কা থাকে— তাহলে বাস বা ট্রেনে নামাজ পড়া জায়েজ। এ ক্ষেত্রে সুযোগ থাকলে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে নেবে। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ বসে নামাজ পড়লে, তার নামাজ হবে না।

আর বাস-ট্রেন বা যেকোনও ধরনের যানবাহনে নামাজ পড়ার সময় যথাসাধ্য চেষ্টা করবে— কেবলামুখী হতে। যদি গাড়ি কেবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায়, তবে নামাজে থাকা অবস্থায় কিবলার দিকে ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ থাকে, সেদিকে মুখ রেখেই নামাজ শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কেবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় না করলে, এই নামাজ পরে আবার পড়ে নেওয়া আবশ্যক। আর কেবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করলে, পরে তা আবার আদায় করতে হবে না।

বাস-ট্রেন বা অন্য যেকোনও জায়গায় নামাজের ক্ষেত্রে অজুর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই যদি যানবাহনে চলন্ত অবস্থায় নামাজের সময় হয়ে যাওয়ার পর গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, অথবা যানবাহনটি এমন কোথাও না দাঁড়ায় যেখানে পানি দিয়ে করে নামাজ আদায় করা সম্ভব, এবং গাড়িতেও পানিতে পানির ব্যবস্থা না থাকে, থাকলে মাটি জাতীয় বস্তুর মাধ্যম তায়াম্মুম করে যানবাহনে নামাজ পড়া জায়েজ আছে।

(সূরা মায়িদা,আয়াত, ৬, ফাতওয়ায়ে শামী-১/৯৬, খুলাসাতুল ফাতওয়া-১/৩৫, ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/২৭, তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/১১৯, ফাতওয়া আল ওয়াল ওয়ালিজিয়্যাহ-১/৬৫)






Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *