Main Menu

সাধ্যের বাহিরে এবার কোরবানীর গরু

সৈয়দ রাসেল আহমদ :
মুসলিম উম্মাহ’র জন্য পশু কোরবানি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটা ফজিলতের বিষয়। তাই প্রতিবছর ঈদুল আযহায় উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত মানুষেরাও মহান রবের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানী দিয়ে থাকেন। বিত্তশালী মানুষেরা বিভিন্ন আকারের গরু কোরবানী দিলেও মধ্যবিত্ত মানুষেরা ছোট আকারের গরু অথবা কমপক্ষে একটি ছাগল দেয়ারও চেস্টা করেন।

তবে এবছর এখন পর্যন্ত বাজার ঘুরে কোরবানীর পশুর যে দাম দেখা গিয়েছে তাতে মধ্যবিত্ত তো দূরের বিষয় বিত্তশালী মানুষেরাও কোরবানি দিতে হিমশিম খেতে হবে বলে মনে হচ্ছে।

জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ও চিকনাগুল গরুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক হাজার দেশি-বিদেশী গরু বাজারে উঠেছে। তবে গরুর দাম অতিরিক্ত হওয়ায় বেচাকেনা একেবারেই নেই।

কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, এবার গরুর একটু দাম বেশি হওয়ায় এখনও ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না,অনেকেই গরু দামদর করে চলে যাচ্ছেন। শুধুই কি দাম বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতারা কিনতে চাচ্ছেন না এমন প্রশ্নে কয়েকজন বিক্রেতা বলেন,শুধু দামের জন্য নয়,যেহেতু ঈদের কয়েকদিন বাকি আছে,তাই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন দাম আরও কমলে কিনবেন।

চিকনাগুল বাজারে একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যে সাইজের গরু গতবছর ৮০-৯০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি,একই সাইজের গরু এবার ১ লাখ ২০ হাজার দাম চাচ্ছে পাইকাররা। শুধু পাইকার নয়,যারা গৃহস্থ রয়েছেন তারাও খুব একটা দাম ছাড়তে আগ্রহী নন। একদিকে ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন গরুর দাম কমবে অন্যদিকে বিক্রেতারা অপেক্ষা করছেন শেষ পর্যন্ত আরও বেশি দামে যেন বিক্রি করতে পারেন।

শুধু গরু নয়, ছাগলের দামও যেন এবার আগের বছরের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। মধ্যবিত্তদের শেষ ভরসা ছাগলেও নিরাশ হতে দেখা গিয়েছে অনেককেই। তবে ক্রেতাদের একটাই আশা শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্টজনক দামেই কোরবানীর পশু কিনতে পারবেন তারা।

তবে বিত্তশালীদের মধ্যে কেউ কেউ আগেভাগেই গরু কিনতে দেখা গিয়েছে। ১ লাখ ২১ হাজার টাকা দিয়ে মাঝারি সাইজের একটি গরু কিনেছেন এমন এক ক্রেতা বলেন,গরুটি তার পছন্দ হয়েছে,বিক্রেতা ১ লাখ ৪৫ হাজার দাম চেয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ২১ হাজার টাকা দিয়ে তিনি কিনতে সক্ষম হয়েছেন।

ঐ ক্রেতা জানান, গরুটি পছন্দ হওয়ায় কিনে নিলাম,মাংস যাই হোক,গরুটি দেখতে সুন্দর বলেই কিনলাম।

কেউ কেউ গরু কিনলেও বেশিরভাগ ক্রেতাদের বাজার ঘুরে খালি হাতেই ফিরতে দেখা গিয়েছে। প্রত্যেকের একটাই অভিযোগ সাধ্যের বাহিরে দাম হওয়ায় এই মুহুর্তে কিনতে রাজি নন তারা।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *