Main Menu

খুতবা না শুনে শুধু জুমার নামাজ পড়া যাবে?

ধর্ম ডেস্ক:
জুমার নামাজের জন্য খুতবা শর্ত বা ফরজ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য শোনা ওয়াজিব। খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে ‘চুপ করো’ বলাও অনর্থক। (বুখারি, হাদিস নং: ১/১২৮)

হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়। অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন, তখন নামাজ পড়বে না, কথাও বলবে না। (মেশকাত, হাদিস নং: ৩/৪৩২)

তাই মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে অত্যন্ত মনোযোগী হয়ে খুতবা শোনা এবং যেসব কাজ নামাজে নিষিদ্ধ তা থেকে বিরত থাকা।

ফিকাহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ফাতাওয়ায়ে শামি’তে একটি মূলনীতি উল্লেখ হয়েছে, যেসব কর্ম নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। যেমন- কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি। (ফাতাওয়ায়ে শামি: ৩/৩৫)

অনেক সময় কেউ কেউ তাড়াহুড়া বা কোনও কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে জুমার খুতবা শুনতে পান না, পরবর্তীতে এসে শুধু ইমামের পেছনে জুমার নামাজ পড়েন। জুমার খুতবা শোনা যেহেতু ওয়াজিব, তাই অনেকে জানতে চান- খুতবা না শুনলে জুমার নামাজ আদায় হবে কিনা?- এ বিষয়ে আলেমদের মতামত হলো- খুতবা না শুনলেও জুমার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে, খুতবা শোনার ওয়াজিব কাজটি ছুটে যাওয়ায় জুমার নামাজের পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না। এজন্য খুতবা শোনার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। (জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ)






Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *