ইসলামে পশুর যেসব অংশ খাওয়া নিষেধ

ধর্ম ডেস্ক:
একজন সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য ১০ জিলহজ কোরবানির থেকে উত্তম আমল আর কিছু নেই। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোরবানির দিন আদম সন্তান যে আমল করে তার মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো কোরবানির পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। কোরবানির পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, নাড়িভুঁড়ি ও চুল-পশম নিয়ে উপস্থিত হবে। আর তার রক্ত জমিনে পতিত হওয়ার আগেই আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সাথে তা পালন করো।’ (ইবন মাজাহ)
১০ জিলহজ পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭)
আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন— “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ:৩৪)
কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল হলেও কিছু অংশ খাওয়া হালাল নয়। এর অন্যতম হলো হালাল প্রাণীর রক্ত খাওয়া, যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এ ছাড়াও রাসুলুল্লাহ (সা.) ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো প্রবাহিত রক্ত, পিত্ত, মূত্রথলি, মাংসগ্রন্থি, নর-মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ এবং অ-কোষ (বায়হাকি)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘রক্ত ছাড়া হালাল পশুর অন্য কোনো অংশ হারাম নয়।’ তবে রাসুলুল্লাহ (সা.) হালাল পশুর এ অংশগুলো অপছন্দ করতেন-১. প্রবাহিত রক্ত। ২. অণ্ডকোষ। ৩. চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি। ৪. মূত্রথলি। ৫. পিত্ত। ৬. নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।
হাদিসের অনুসরণে প্রিয় নবী (সা.)-এর অপছন্দনীয় পশুর নির্ধারিত অংশগুলো না খাওয়াই উত্তম।
Related News

মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More

যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More