নিউজ ডেস্ক:
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৪২ ওয়ার্ড মোট ২৭২ জন প্রার্থী সাধারণ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোট দেওয়ার মাধ্যমে ৪২ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন নগরবাসী।

১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী বিজয়ী হয়েছেন ১নম্বর ওয়ার্ডে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। যেখানে কাউন্সিলের হিসেবে ভোটাররা সৈয়দ তৌফিকুল হাদী বিজয়ী হন ভোটারদের ভোটে। হাদী সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন করায় তাকে দলকে আজীবন বহিস্কার করে বিএনপি। নিয়ে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিক্রম কর সম্রাট বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক ছিলো লাটিম। ঐ ওয়ার্ডের মোট দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। যেখানে বিক্রম কর সম্রাট ভোটারদের ভালোবাসায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদ লায়েক সিলেট সির্টি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল। বিপুল আনন্দ উদ্দীপনার মাধ্যমে ভোট হয় এবং সকলকে পরাজিত করে তিনি বিজয়ী হন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডে টানা চতুর্থ বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রেজওয়ান আহমদ।

ফরহাদ চৌধুরী শামীম ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর আগে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে জগদীশ চন্দ্র দাশ বিজয়ী হয়েছেন। ৮নম্বর ওয়ার্ডের মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। জগদীশ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. মখলিছুর রহমান কামরান।এনিয়ে তিনি টানা পঞ্চমবারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১০নং ওয়ার্ডে দ্বিতীয়বার কাউন্সিলর হলেন মো. তারেক উদ্দিন তাজ। তিনি ঠেলাগাড়ী মার্কায় এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে সিলেট মহানগর কৃষকলীগের সাধারাণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু (ঘুড়ি প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।

১২নং ওয়ার্ডে পঞ্চম বারের মত বিজয়ী হয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন সিকন্দর আলী। ১২ নং ওয়ার্ডে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

সিলেট সির্টি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডে পঞ্চম বারের মত কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন শান্তনু দত্ত সনত্তু যে জয়ে রেকর্ড হয়ে থাকলেন সনত্তু।

১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম। সিলেট সির্টি করপোরেশন নির্বাচনে তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে তিনি বিজয়ী হন।

১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের নির্বাচিত হয়েছেন। সিলেট সির্টি করপোরেশনের ইভিএম এই প্রথম ভোট হয় এবং তিনি বিজয়ী হন।

১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মুহিত জাবেদ। এই ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এ নিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

১৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলর পদে রাশেদ আহমদ। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

১৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর এবি এম জিল্লুর রহমান। যিনি মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

১৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আজাদুর রহমান আজাদ বিজয়ী হয়েছেন।এইবার নিয়ে কাউন্সিলর আজাদ পঞ্চমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস হয়ে রইলেন।

২১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আব্দুর রকিব তুহিন (লাটিম প্রতীক)। এই ওয়ার্ডে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সবাইকে পেছনে ফেলে তিনি বিজয়ী হয়েছেন ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে।

২২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী (মাসুম)। তিনি প্রথম বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ২২নং ওয়ার্ডে।

২৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাক আহমদ। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

২৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবির সুহিন। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

২৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. তৌফিক বক্স লিপন। তিনি আগেও এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এই ওয়ার্ডে মোট চারজন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

২৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল জলিল নজরুল। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

২৮ নাম্বার ওয়ার্ডে বই মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রায়হান হোসেন। রেডিও মার্কা নিয়ে নতুন বর্ধিত ওয়ার্ডে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

২৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম শাকিল। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রকিব খান। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নজমুল হোসেন। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রুহেল আহমদ। যিনি লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন জয়নাল আবেদীন। যিনি ক্যাপ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত জাহাঙ্গীর আলম। যিনি ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে হিরন মাহমুদ নিপু (ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। সিলেট সির্টি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ডে মোট পাঁজজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন এবং হিরন মাহমুদ নিপু কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন নতুন বর্ধিত ওয়ার্ডে। হিরন মাহমুদ নিপু সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

৩৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াজ মিয়া। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৩৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বেলাল আহমদ। যিনি মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন।এই ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

৪০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন লিটন আহমদ। যিনি ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৪১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত ফখরুল আলম। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।

৪২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মতিউর রহমান। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।