Main Menu

সিলেটে বন্যার আশংকা

নিউজ ডেস্ক:
উজানের বৃষ্টি আর ভারত থেকে পানি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে ঢুকায় সিলেটের প্রতিটি নদ-নদীর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের নদ-নদীগুলোর সবকটি পয়েন্টর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি গতকাল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে।

রবিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরম নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ এ পয়েন্টে নদীর পানি রেকর্ড করা হয় ১২.৮৬ সে.মি। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ১২.৭৫ সি.মি।

এছাড়া সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টের রবিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানি রেকর্ড কার হয়েছে ৯.৯৮ সে.মি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ১০.৮০ সি.মি।

কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ১৪.৩৮ সে.মি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ১৫.৪০ সি.মি।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ১১.৫৬ সে.মি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ১৩.০৫ সি.মি।

কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ৮.২৩ সে.মি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ৯.৪৫ সি.মি।

কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ৭.০৯ সে.মি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ৮.৫৫ সি.মি।

লোভা নদীর লোভাচরা পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ১৩.৩২ সে.মি।

সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ১১.১৭ সে.মি। এ পয়েন্টের বিপদসীমা হচ্ছে ১২.১৭ সি.মি।

আর ধলাই নদীর ইসলামপুর পয়েন্টের পানি রেকর্ড কার হয়েছে ৯.৮০ সে.মি।

সিলেটের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৬টা থেকে রবিবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯২ মিলিমিটার। আর রবিবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা সিলেটে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৫ মিলিমিটার।

সিলেটে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *