জিলহজ মাস শুরুর আগেই কোরবানির প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
ধর্ম ডেস্ক:
কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘কোরবানির গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং কোরবানির মধ্য দিয়ে তোমাদের তাকওয়া-পরহেজগারী বা আল্লাহভীতিই তাঁর কাছে পৌঁছে। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন—যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর। এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।’ (সুরা হজ, আয়াত, ৩৯)
সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কোরবানি না দেয়; সে ব্যক্তির ব্যাপারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর হুশিয়ারি ঘোষণা করেন। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার সামর্থ্য আছে তবুও সে কোরবানি করল না (অর্থাৎ কোরবানি করার সংকল্প তার নেই) সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)
কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য জিলহজ মাস শুরুর আগে চুল, নখ, বগল-নাভির পশম, গোঁফ ইত্যাদি আগেই কেটে নেয়া উচিত। জিলহজ মাস শুরুর পর পশু কোরবানির আগ পর্যন্ত এসব না কাটা সুন্নত। তবে নতুন জামা-কাপড় পরিধান করা, মেহেদি দেয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা, স্ত্রী উপভোগ করা কিংবা সহবাস করা নিষিদ্ধ নয়। এ বিধান শুধুমাত্র হজে গমনকারী ইহরামকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কোরবানিকারীদের উদ্দেশ্যে করে মহানবী (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি কোরবানি দেয়ার নিয়ত করেছে সে যেন জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি করা পর্যন্ত তার চুল নখ না কাটে।’ (মুসলিম: ৪৯৫৯)
যারা কোরবানি করতে সক্ষম নয় তারাও এ আমল করতে পারবেন। কোনো অসচ্ছল ব্যক্তি যদি এই দিনগুলোতে চুল, নখ না কেটে ঈদের দিন কাটে, তাহলে তাদের কোরবানি দেয়ার সওয়াব দেয়া হবে।
তবে, যারা কোরবানি করবে না, তাদেরকে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নিষেধ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে শাইখ বিন বায (রহ.) বলেন, ‘আলেমগণের বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, তারা চুল কাটা ও নখ কাটার নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই। হুকুমটি কোরবানিকারীর জন্য খাস, যিনি তার সম্পদ থেকে কোরবানির পশুটি ক্রয় করেছেন।’ (ফতোয়ায়ে ইসলামিয়া: ২/৩১৬)
এ হুকুমের ক্ষেত্রে নর-নারীর মাঝে কোনো ভেদাভেদ নেই। তাই কোনো নারী তিনি বিবাহিত হন কিংবা অবিবাহিত হন তিনি যদি কোরবানি করতে চান তাহলে তিনি তার শরীরের চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকবেন।
হাদিসের ভাষায়- ‘কেউ যদি জবাই করার জন্য কোনো পশু প্রস্তুত রাখে এবং সে জিলহজ্জ মাসে প্রবেশ করে তখন সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে, যতক্ষণ না সে কোরবানি সম্পন্ন করে।’
Related News
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More