Main Menu

মালয়েশিয়ায় তেলের ট্যাংকিতে পড়ে প্রাণ হারালেন প্রবাসী বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক:
মালয়েশিয়ায় নিজ কর্মস্থলে তেলের ট্যাংকির ভেতরে পড়ে গিয়ে এনায়েত শেখ নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শনিবার (১০ জুন) রাতে এনায়েতের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহতের বড় ভাই শাহাদত শেখ বলেন, ১২ বছর আগে মালয়েশিয়ায় যায় এনায়েত। মালয়েশিয়ার জহুরবারো এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার (১০ জুন) সকাল ৭টার দিকে ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার। এরপর সকাল ৯টার দিকে ওই দেশে থাকা এনায়েতের বাংলাদেশি সহকর্মীরা ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানায়।

এনায়েতের পরিবার জানায়, জীবিকার তাগিদে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান মো. এনায়েত শেখ (৩৫)। বছর দেড়েক আগে দেশে এসে বিয়ে করেন তিনি। পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ফের চলে যান মালয়েশিয়ায়। সেখানে যাওয়ার কয়েকমাস পর ছেলে সন্তানের বাবার হন তিনি। এখন তার ছেলে ওছামার বয়স মাত্র ৭ মাস। আসন্ন ঈদুল আজহায় শিশু সন্তানকে দেখতে দেশে আসার কথা ছিল তার।

নিহত এনায়েত শেখ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাংরাইল গ্রামের মৃত হামেদ শেখের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এনায়েত ছিলেন সবার ছোট। তার এমন মৃত্যুর খবরে পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এদিকে এনায়েতের মরদেহ দেশে আনা নিয়েও পরিবারের সদস্যদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবার।

শাহাদত শেখ বলেন, এখন তার মরদেহ কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনবো, সেই চিন্তায় আছি। ভাইয়ের লাশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

এনায়েতের বৃদ্ধা মা তছিরন বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলেটা আমার বিদেশে গিয়ে ১২ বছর ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করে আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। প্রতিদিন ভিডিও কলে ছেলেকে দেখতো আর তাকে বলতো আগামী কোরবানির ঈদে এসে তোমাকে সরাসরি দেখবো, কোলে নিয়ে ঘুরবো বাবা। কিন্তু ছেলেকে দেখার আগেই আমার বাজান চলে গেল। এটা আমরা কীভাবে মেনে নেবো। এখন কী হবে ওর স্ত্রী-সন্তানের।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহিন বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যথাযথভাবে আবেদন করলে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাইলে আমি অবশ্যই সহযোগিতা করবো।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *