Main Menu

৭ সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি গ্রিসের

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
তুরস্ক থেকে গ্রিসে অভিবাসী পাচারে জড়িত একটি চক্র ভেঙে দেয়ার দাবি করেছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ। একই সাথে দেশটির কস দ্বীপে অনিয়মিত অভিবাসী নিয়ে প্রবেশ করা দুই ব্যক্তিসহ মোট সাতজন সন্দেহভাজন পাচারকারীকে আটকের দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়েছে, তুরস্ক থেকে গ্রিক দ্বীপ কস-এ অভিবাসীদের অবৈধ প্রবেশ এবং পরিবহণে জড়িত একটি অপরাধমূলক সংগঠনকে ভেঙে দেয়া হয়েছে। কোনও ধরনের ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট ছাড়াই ১০ জন ব্যক্তি সীমান্তবর্তী সালিদির উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবেশ করে। তাদেরকে পাচারকারীরা সেখান একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। কোন ইউরোপীয় দেশের মূল ভূখণ্ডে স্থানান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকের সেখানে রাখার পরিকল্পনা ছিল বলে সন্দেহ গ্রিস কর্তৃপক্ষের।

এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্টরা অভিবাসীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। দুইজন বিদেশি নাগরিকের নেতৃত্বে পাঁচজনের প্রথম দলটি স্থানীয় মস্তিচারি বন্দরে অবস্থান নেয়৷ এই দুই ব্যক্তি পাচার চক্রের সদস্য বলে জানায় গ্রিস।

পাচারকারীদের পরিকল্পনা ছিল প্রথম দলটিকে কালিমনোস দ্বীপে নিয়ে যাওয়া। দুই অভিযুক্ত পাচারকারীকে পরবর্তীতে কস দ্বীপের বন্দর থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ।

পাঁচ অভিবাসীর অন্য দলটিকে কস দ্বীপের পাইলি এলাকায় অবস্থিত একটি গাড়ি মেরামতের দোকানে খুঁজে পায় পুলিশ।

একই দোকান থেকে আরও পাঁচ সন্দেহভাজন পাচারকারীকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তাদের সবাইকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত বছরের শুরু থেকেই মানবপাচার ও অনিয়মিত অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে গ্রিস। যার ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে কমে এসেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা।

মানবপাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্তত একশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রিসে আসার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ সম্প্রতি পাঁচ গ্রিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে অভিবাসীদের আগমন ঠেকাতে এথেন্স তুরস্কের সঙ্গে তার স্থল সীমান্তে একটি দীর্ঘ প্রাচীর নির্মাণ করেছে। ২০২০ সালে নির্মিত এই সীমান্ত প্রাচীরটি ৩৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এ বছরের শেষ নাগাদ এই সীমান্ত প্রাচীরকে আরো ৩৫ কিলোমিটার প্রসারিত করার কথা জানিয়েছে গ্রিক কর্তৃপক্ষ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *