Main Menu

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩০, বহু হতাহতের আশঙ্কা

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
ভারতের ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭৯ জনকে বালেশ্বরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে যাত্রীবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ‍সাড়ে ৬টার দিকে বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজারে কাছে অপর একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৭ টা ২০ মিনিটে বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার স্টেশন এলাকায় ঘটে এই দুর্ঘটনা।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের উদ্দেশে কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পার হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছায় বালেশ্বরে। তার আরও এক ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বাহাঙ্গা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি।

ভারতের কেন্দ্রীয় রেল দপ্তরের দক্ষিণপূর্ব শাখার শীর্ষ জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, ‘বালেশ্বরের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে কিছু একটা হয়েছে। আমরা কোনোভাবে এখনও কিছু জানতে পারিনি। জানার চেষ্টা করছি।’

এদিকে হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটানার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে প্রায় ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স। তবে হতাহতের সংখ্যা এত বেশি যে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সেগুলো। ওড়িষা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ সচিব প্রদীপ জেনা এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসতে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করছে রাজ্য প্রশাসন।

গোবিন্দ মণ্ডল নামে দুর্ঘটনার শিকার এক যাত্রী হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আমি বাঁচার আশা পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, আমি মরে গেছি। তারপর কামরার কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে আমিও ভাঙা একটি জানালা দিয়ে কো রকমে বের হয়ে আসি।’

গোবিন্দ মণ্ডল আহত হয়েছেন— তবে সেই আঘাত গুরুতর নয়। স্থানীয় একটি হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎেসা শেষে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

‘কিন্তু ট্রেনের বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। আমি যে কামরায় ছিলাম সেখানেই এমন কয়েকজনকে দেখেছি জানালা দিয়ে বের হওয়ার সময়,’ হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন গোবিন্দ। ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। বালেশ্বর ও আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ বাহিনী এনডিআরএফ শতাধিক কর্মী আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *