স্ত্রী-সন্তানদের ব্রিটেনে আনতে পারবেন না বিদেশি শিক্ষার্থীরা

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
বিদেশি শিক্ষার্থীদের অভিবাসন নীতিতেও এবার কঠোর নিয়ম আরোপ করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। নতুন অভিবাসন নীতিতে শিক্ষার্থীদের পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনও বিদেশি শিক্ষার্থী এখন থেকে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ব্রিটেনে যেতে পারবেন না। অভিবাসীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন এই পদক্ষেপ অভিবাসন কমাতে সাহায্য করবে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে- চলতি বছর বৈধ অভিবাসন ৭ লাখের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮ টি ভিসা দেওয়া হয়েছে শীক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের। যা ২০১৯ সালের সংখ্যায় প্রায় ৯ গুণ। শুধুমাত্র গত বছরই (ডিপেন্ডেন্ট) নির্ভরশীলদের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮জনকে ভিসা দিয়েছে দেশটি।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, আমরা যে অভিবাসন কমানোর কথা বলছি, শিক্ষার্থীদের পরিবার আনার নীতি কঠোর করে সেই সংখ্যা আমরা কমাতে পারি। তাই এই নিয়মে কড়াকড়ি আরোপের সময় এসেছে।
তবে গবেষণা পর্যায়ের ( পিএইচডি’র) ক্ষেত্রে আবার এই নিয়ম কার্যকর হবে না। উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, প্রচলিত নিয়মেই তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিতে পারবেন ব্রিটেনে।
শিক্ষা সচিব গিলিয়ান কিগানসহ কিছু মন্ত্রী যুক্তি দিয়েছিলেন যে- তারা দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাসের কারণে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন।
আবার ইউনিভার্সিটিজ ইউকে (ইউ ইউ কে ) এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্ভরশীলতার সংখ্যা বাড়লে পারিবারিক বাসস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা’র ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়। তাই ইউ ইউ কে’র পরিচালক জেমি অ্যারোস্মিথ এই পদক্ষেপকে যুক্তিযুক্ত বলেছেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ ইউনিয়ন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটিকে বৈষম্যমূলক দাবি করে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জো গ্র্যাডি বলেন, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিবার আমাদের দেশে আসে তারা আমাদের সমাজের জন্য বিশাল মূল্য নিয়ে আসে, পড়াশোনার সময় তাদের প্রিয়জনের পাশে থাকার অধিকার তাদের রয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে অভিবাসন নীতি সবসময়ই রাজনীতিতে একটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। সরকারি দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নেট মাইগ্রেশন প্রতিবছর ১ লাখের নীচে রাখবে। কিন্ত বারবার ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে সেই লক্ষমাত্রা তারা বাতিল করে দেয়।
সূত্র: ইউকে গর্ভনমেন্ট ওয়েবসাইট, বিবিসি, ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড
Related News

পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর ঋণ দেওয়া কেন ঠেকাতে পারেনি ভারত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ গত সপ্তাহে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ (সহায়তাRead More

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More