Main Menu

হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়ার মানবপাচার: ফ্রান্সে গ্রেপ্তার ৬

নিউজ ডেস্ক:
অভিবাসী পাচারে জড়িত একটি বড় চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজন ফ্রান্স ও একজন মরোক্কোর নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করে হাঙ্গেরি থেকে অস্ট্রিয়ায় অভিবাসীদের পারাপারের অভিযোগ রয়েছে।

বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলের ভাল দ্যো মার্ন ডিপার্টমেন্ট এবং পূর্ব ফ্রান্সের রাঁস শহর থেকে গত সপ্তাহে এসব ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

ক্রেতেই অঞ্চলের প্রসিকিউটির কার্যালয় শুক্রবার, (১২ মে) জানায়, “সন্দেহভাজন পাচারকারীরা প্রধানত হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়াকে ব্যবহার করে অনিয়মিত অভিবাসীদের শেনজেন জোনের অন্য দেশগুলোতে যেতে সাহায্য করত। ২০২২ সালের মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে তারা সাত থেকে আটটি ‘ট্রিপ’ বা পাচার করেছে।”

ফরাসি দৈনিক লো পারিজিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে দিয়ে পার হতে অভিবাসীদের কাছ থেকে জনপ্রতি সাতশ থেকে দুই হাজার ইউরো পর্যন্ত নিত পাচার চক্রটি। তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আসা অভিবাসীরা ছিল চক্রটির প্রধান লক্ষ্য৷

ফরাসি প্রসিকিউশনের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বয়সসীমা ২১ থেকে ২৬ বছর৷ তাদের আগামী ২ জুন আদালতে তোলা হবে। হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করা এই নেটওয়ার্কের মূল কার্যক্রমের একটি ছোট অংশ। তাদের কাজ আরও বিশাল ও বিস্তৃত। অভিবাসীদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সহজে ছড়িয়ে দিতে পরিবহন হিসেবে রেলকে ব্যবহার করত চক্রটি৷

এসব পাচারকারীরা ‘গো ফাস্ট’ নামে একটি পদ্ধতি অনুশীলন করত বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত মাদক ব্যবসায়ীরা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে।

এই নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে একটি গাড়ি সম্ভাব্য পুলিশ চেক পর্যবেক্ষণ করে। পরবর্তীতে অভিবাসীদের পরিবহনকারী ট্রাক সামনের গাড়ি থেকে সবুজ সংকেত পেলে অগ্রসর হয়।

২০২২ সালের অক্টোবরে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পরেই তদন্তকারীরা ওয়্যারট্যাপিং নজরদারি এবং স্পিনিং এর মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। শেনজেন এলাকায় অবৈধ প্রবেশে সহায়তা করার দায়ে তাদের দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷৷

এই নেটওয়ার্কটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভেঙে ফেলা বৃহত্তম চক্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। তারা এ পর্যন্ত ১৫২ মিলিয়ন ইউরো হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রিয়ায় আটক হওয়া ২০৫ জন ছাড়াও এই চক্রের সম্ভাব্য সদস্যদের চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়া থেকেও বিভিন্ন অভিযানে আটক করা হয়েছে।

ফ্রান্সে আটক হওয়া ছয় সন্দেহভাজনের মধ্যে চারজনকে নিরাপত্তা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে, বাকি দুইজনকে বিচার বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।

মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত অক্টোবর থেকে বিশেষভাবে সজাগ রয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ তারই ধারাবাহিকতায়, এই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা সংস্থা ইউরোজাস্ট-এর তত্ত্বাবধানে তদন্তের সময় অস্ট্রিয়ান এবং হাঙ্গেরির পুলিশকে পুরো প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে ফরাসি পুলিশ। সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *