Main Menu

২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর মালয়েশিয়ায় গমন প্রক্রিয়াধীন

নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশ‌টিতে নতুন করে পাঁচ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লেবার ডিপার্টমেন্ট ৮ হাজার ৭২৭টি নিয়োগের ডিমান্ডের বিপরীতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৯২ জন বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯৫ জন নতুন কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। আরও প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর আগমন প্রক্রিয়াধীন।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরে মধ্যে মালয়েশিয়ায় আনুমানিক পাঁচ লাখ নতুন বাংলাদেশি কর্মীর কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী হাইকমিশন।

মালয়েশিয়ায় বাংলা‌দে‌শি কর্মী যাওয়ার পর কাজ না পাওয়া প্রসঙ্গে হাইক‌মিশ‌নের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ না পাওয়া কর্মীর সংখ্যা মোট আগত কর্মীর তুলনায় অল্প এবং এটি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেই না- বরং নেপাল, মিয়ানমারসহ অন্যান্য অনেক দেশের শ্রমিকও একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।

বাংলাদেশি কর্মীদের নতুন নিয়োগকর্তার অধীনে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সে বিষয়ে মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বৈধভাবে আগত একজন বাংলাদেশি কর্মীও মালয়েশিয়াতে যেন বিড়ম্বনার শিকার না হ‌তে হয় তার জন্য কাজ করছে হাইক‌মিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো দেশের দূতাবাসের পক্ষেই শতভাগ যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগের ডিমান্ড সত্যায়ন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে দূতাবাসকে আবশ্যিকভাবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করতে হবে। এটা বাংলাদেশসহ সকল সোর্সিং কান্ট্রির দূতাবাসের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ দূতাবাস আনুমানিক ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সঠিক আছে কিনা সে সংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ডিমান্ড সত্যায়ন করে থাকে। বাকি আনুমানিক ৫ শতাংশ ডিমান্ডের বিপরীতে দূতাবাস নিয়োগকর্তার অফিস/প্রজেক্ট সাইট ইত্যাদি ভিজিট করে সত্যায়ন করে থাকে। শতভাগ প্রজেক্ট /ফ্যাক্টরি তথা হাজার হাজার নিয়োগ প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে ভিজিট করা দূতাবাসের পক্ষে বাস্তবিকভাবেই অসম্ভব। এটা মালয়েশিয়ার লেবার ডিপার্টমেন্টের পক্ষেই একমাত্র সম্ভব।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *