Main Menu

লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
গাজা উপত্যকা ও লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, উভয় অঞ্চল থেকে ইসরায়েলে কয়েক ডজন রকেট ছোড়ার প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার ভোরের আগে তারা হামাসকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা ও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল উভয় দিকে ইসরায়েলের সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে (গ্রিনীচ মান সময় ০১৩০টায়) এসব হামলা চালানো হয়। খবর এএফপি’র।

এএফপি জানায়, লেবাননের টায়ার অঞ্চলের পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ওই অঞ্চলে মধ্যরাতের আগে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়।

ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের ভিতরে বুধবার ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর সর্বশেষ সহিংসতার বিস্তার ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, লেবাননের ভূখন্ড থেকে ইসরায়েলে ৩০টিরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে ২০০৬ সালে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ ৩৪ দিনের যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পর সীমান্ত বরাবর সহিংসতা সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট এই হামলার জন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে বলেছেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবে ফিলিস্তিনিদের আগুন।’

লেবাননে সেনাবাহিনীর হামলার ঘোষণার ঠিক আগে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় আজ রাতে ও ভবিষ্যতে, একটি চড়া মূল্য দিতে হবে।’ নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সাথে একটি বৈঠকের পরে কথা বলেছিলেন।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এ সম্পর্কে জানায়, উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকে ইসরায়েলের নাগরিকদের উপর গুলি চালানোর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুপারিশের ভিত্তিতে একটি ধারাবাহিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান যে কোনো ফ্রন্টে যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে তারা গত কয়েকদিনে হামাসের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামাসের অন্তর্গত দুটি টানেল ও দুটি অস্ত্র তৈরির সাইটে আঘাত করেছে। এরপর গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৫টি রকেট ধ্বংস করেছে এবং পাঁচটি ইসরায়েলি ভূখন্ডে অবতরণ করেছে।

এদিকে হামাস ইসরায়েলকে আগ্রাসন এবং এর পরিণতির জন্য দায়ী করে সমস্ত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে ‘দখলদারিত্বের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইহুদি নিস্তারপর্ব ও মুসলিম পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির উত্তেজনা বেড়ে গেছে। বহির্বিশ্ব এসব হামলার নিন্দা ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *