Main Menu

ইফতারির সময় দোয়ার গুরুত্ব

ধর্ম ডেস্ক:
নিজেকে সারাদিন পানাহার ও শরীয়ত নির্ধারিত কাজ থেকে বিরত রাখার পর ইফতারের মুহূর্তটি রোজাদারের জন্য বিশেষ আনন্দের। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো ইফতারের সময় (এ সময় যেকোনো নেক দোয়া কবুল করা হয়)। অন্যটি হলো (কেয়ামতের দিবসে) নিজ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬; বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২; মুসলিম, হাদিস : ১১৫১)

অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘আমার বান্দাদের মধ্যে তারা আমার বেশি প্রিয় যারা দ্রুত ইফতার করে।’ (তিরমিজি, আলফিয়্যাতুল হাদিস: ৫৬০, পৃষ্ঠা: ১৩১)

ইফতারের আনন্দের এই মুহুর্তে রোজাদারের দোয়া কবুলের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে হাদিসে। কারণ ইফতারের সময়টা হলো আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধারণের মুহূর্ত।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রোজাদারের দোয়া আল্লাহর নিকট এতই আকর্ষণীয় যে আল্লাহ তাআলা রমজানের সময় ফেরেশতাদের উদ্দেশে ঘোষণা করেন, ‘রমজানে তোমাদের পূর্বের দায়িত্ব মওকুফ করা হলো এবং নতুন দায়িত্বের আদেশ করা হলো, তা হলো আমার রোজাদার বান্দাগণ যখন কোনো দোয়া–মোনাজাত করবে, তখন তোমরা আমিন! আমিন! বলতে থাকবে।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)।

আরেক হাদিসে আছে, রোজা অবস্থায় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে নবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৩/৩৪৫; সিলসিলাতুস সহিহা, আলবানি : ১৭৯৭ )

আরেকটি হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইফতারের সময় রোজাদারের জন্য এমন একটি দোয়া রয়েছে যা ফিরিয়ে দেয়া হয় না।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫৩; তাবরানি, হাদিস : ১২২৯-১২৩০/২; বায়হাকি, হাদিস : ৩৯০৫)

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তায়ালা ফেরত দেন না। এক. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া। দুই. সিয়াম আদায়কারীর দোয়া, যতক্ষণ না সে ইফতার করে। তিন. মজলুম ব্যক্তির দোয়া। (মুসনাদে আহমাদ : ৯৭০৪)।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *