Main Menu

বাংলায় যেভাবে সেহেরি, ইফতার, তারাবিহ ও রোজার নিয়ত করবেন

ধর্ম ডেস্ক:
রোজা বলা হয়, সুবহে সাদিক থেকে সূযার্স্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সঙ্গম এবং জাতীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। রোজা শুরুর আগে প্রত্যেক মুসলমান সেহরি খেয়ে থাকেন এবং রোজা ভাঙ্গার সময় ইফতার করেন। এর পাশাপাশি রোজার দিনের বিশেষ ইবাদত হলো রাতের তারাবি নামাজ।

রমজানের রোজা পালনের জন্য এই আমলগুলোর প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বিশেষ নিয়ত ও দোয়া রয়েছে। এখানে সেহেরি, ইফতার, তারাবিহ, রোজার নিয়ত ও দোয়াগুলো তুলে ধরা হলো-

সেহরির নিয়ত

সেহরির আলাদা কোনও নিয়ত বা দোয়া নেই। কারণ, সেহরি মানে শেষ রাতের খাবার। আর সেহরি শব্দের অর্থ ভোরের খাবার। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সাহরি বলে। তাই সেহরি খাওয়ার সময় অন্যান্য খাবারের যে দোয়া আছে তা পড়ে নেওয়া সুন্নত।

খাবারের আগের দোয়া

খাওয়া শুরু করার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়তেন,

بسم الله وعلى بركةالله بعالى

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারকাতিল্লাহ

অর্থ: আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি এবং আল্লাহ তায়ালার বরকত প্রার্থনা করছি। (সাআলাবী)।

খাবারের আগের দোয়া ভুলে গেলে যে দোয়া পড়বেন

হাদিস শরিফে এসেছে, খানা খাওয়ার শুরুতে কেউ বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে, খাওয়ার মাঝখানে যখনই একথা মনে পড়বে, সঙ্গে সঙ্গে এই দোয়া পড়বে,

بسم الله اوله واخره

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখেরাহ

অর্থ: আমি আল্লাহ তায়ালার নামে খানা খাওয়া শুরু করছি। প্রথমেও আল্লাহ তায়ালার নাম, পরিশষেও আল্লাহ তায়ালার নাম। (আবু দাউদ, আহমদ, দারেমী)।

 

রোজার নিয়ত

বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকেন। তবে এটি হাদিস ও ফিকাহের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারেন। (তবে জেনে রাখা উচিত যে, নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ।)

রোজার আরবি নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

 

রোজার নিয়ত বাংলায়

ফরজ বা নফল রোজার নিয়ত আরবিতে হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো ভাষায় নিয়ত করা যায়। নিয়ত এভাবে করা যায়— আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ : খণ্ড : ১, পৃষ্ঠা : ৩৭৮)

ইফতারের দোয়া

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

ইফতারের দোয়ার বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

ইফতারের দোয়ার অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

 

তারাবির নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ للهِ تَعَالَى رَكْعَتَى صَلَوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা, রাকাআতাই সালাতিত তারাবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তায়ালা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।

অর্থ : আমি কেবলামুখী হয়ে দুই রাকাত তারাবি সুন্নত নামাজের নিয়ত করছি; আল্লাহু আকবার।

বাংলায় তারাবির নিয়ত

নিয়ত আরবিতেই করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলাতেও করা যাবে। তাহলো-

তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য (জামাত হলে- এ ইমামের পেছনে) পড়ছি- (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *