সেহরির আগে স্বপ্নদোষ হলে যা করবেন

শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী, অতিথি লেখক:
সেহরি মানে শেষ রাতের খাবার। সেহরি শব্দের অর্থ ভোরের খাবার। রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সাহরি বলে।
রোজা রাখার নিয়তে সাহরি খাওয়া সুন্নত। সাহরি অত্যন্ত বরকতময় খাবার। সাহরি খাওয়ার অনেক ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ সাহরিতে বরকত আছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আহলে কিতাব তথা ইহুদি-খ্রিস্টান আর মুসলমানদের রোজার মধ্যে শুধু সাহরি খাওয়াই পার্থক্য। অর্থাৎ তারা সাহরি খায় না আর আমরা সাহরি খাই।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৪৩; তিরমিজি, হাদিস : ৬৪২)
মানুষজন সাধারণত শেষ রাতে সুবহে সাদিকের আগ মুহুর্তে সেহরি খেয়ে থাকেন। রাসুল (সা.) নিজেও সবসময় শেষ সময়ে সাহরি খেতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। সেহরি খাওয়ার আগ মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠার পূর্বে স্বপ্নদোষ হলে করণীয় বিষয়ে অনেকে জানতে চান। যেমন একজন প্রশ্ন করেছেন-
‘রাতে স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে সাহরি খাওয়া যাবে কি? বিঃদ্র- গ্রামে থাকি গোসল করতে নদীতে যেতে হয়। একটু কষ্টটকর! লজ্জাও পাই!’
এমন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়। আর গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যায়। -(বুখারী ২৭৯) সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে।
আলেমরা বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (বাদায়ে ১/১৫১)
নওফেল বিন মুআবিয়া রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২) সুতরাং ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে।
Related News

মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক?
মজার ছলে কাউকে গালি দেওয়া কি ঠিক? আড্ডার সময়ে বন্ধুরা একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনেরRead More

যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী
যৌবনকালের ইবাদতের গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন আজহারী যৌবনকালের ইবাদত একটি লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেনRead More