Main Menu

ফ্রান্সে অভিবাসী পাচারের দায়ে কুয়েতি নাগরিকের ৪ বছরের সাজা

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
২০২১ সালে পাইমপোল উপসাগর দিয়ে অভিবাসীদের ইংল্যান্ডে পাচার চেষ্টার দায়ে এক কুয়েতি নাগরিককে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ফরাসি আদালত। সংশ্লিষ্ট অভিবাসীদের সাক্ষাৎকার ও তদন্তের ভিত্তিতে রায়টি দেয়া হয়েছে৷

মানব পাচার, সম্ভাব্য মৃত্যু ঝুঁকি এবং অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মঙ্গলবার কুয়েতের ওই নাগরিককে চার বছরের জেল দিয়েছে ফ্রান্সের সাঁ-ব্রিউক অঞ্চলের ফৌজদারি আদালত।

রায়ে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০২১ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে বেআইনি পথে অভিবাসীদের পাচার চেষ্টা করেন৷ ফ্রান্সের কোত দারমোর উপকূল থেকে এই যাত্রা করা হয়েছিল।

এই ঘটনায়, ২০২১ সালের ৭ জুলাই রাত থেকে ৮ জুলাই সকাল ৬টার মধ্য নয় শিশু এবং এক নারীসহ ২৭ জন অভিবাসীকে নৌকাসহ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেছিল ফরাসি কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগী অভিবাসীরা যাত্রার শুরু পর সমুদ্রে জ্বালানি ঘাটতির ঝুঁকি টের পেয়ে ফরাসি অপারেশনাল সেন্টার ফর সার্ভিল্যান্স অ্যান্ড রেসকিউ (ক্রস)-এর কাছে সহায়তা চেয়ে ফোন করেছিলেন।

ইংরেজি দক্ষতা

সমুদ্র থেকে অভিবাসীদের উদ্ধারের পর ২০২১ সালের ৯ জুলাই প্রাক-বিচার ব্যবস্থায় আটক অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফরাসি পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে এই কুয়েতি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন।

তিনি দাবি করেন, অভিবাসীরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর জন্য তারা একসঙ্গে এই ভ্রমণের অর্থায়ন করেছিল।

তবে অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, ইংরেজি জানার কারণে এই ভ্রমণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কারণ দলের অন্য কেউ ইংরেজি জানতেন না।

২৬ অনিয়মিত অভিবাসীর মধ্যে চারজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে আদালত। তারা জানিয়েছেন, উত্তর ফ্রান্সের লিল শহরে অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তারা। তাদের ইংল্যান্ডে পৌঁছে দিতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছিলেন তিনি৷

অভিবাসীরা আরও জানায়, তারা ট্রেনে করে ফ্রান্সের ব্রোতাইন শহরে এসেছিলেন। তারপর একটি গাড়িতে সেখান থেকে তাদের সবাইকে নৌকা ছাড়ার পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

নৌকায় আতঙ্ক
অভিবাসীরা আরও জানান, পাচার চক্রের অন্য একজন সংগঠক গাড়িতে তাদের সঙ্গে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি নৌকায় ওঠেননি। একজন নিয়মিত অভিবাসী হিসেবে সুইডেনে বসবাস করেন তিনি৷

সমুদ্র যাত্রার পরে নৌকাটি প্রবল বাতাসে দুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নৌকায় পানি ঢোকা শুরু হলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের সাথে থাকা জ্বলানিও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।

আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত জানান, তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের স্বাক্ষ্য মিথ্যা ছিল। মূলত নৌকায় থাকা অভিবাসীরা ভয় পেয়েছিলেন এবং দ্রুত এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন।

পাবলিক প্রসিকিউটরের মতে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান। তিনি ফ্রান্সের দক্ষিণ থেকে সাত হাজার ইউরো বা সাত লাখ টাকায় কেনা একটি আবর্জনা বহনের নৌকাকে অভিবাসী পাচারে ব্যবহার করেছিলেন। প্রসিকিউটর আদালতের কাছে সাত বছরের জেল এবং ফরাসি ভূখণ্ড থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার অনুরোধ করেছিলেন।

আদালত রায়ে, অভিযুক্তকে চার বছরের জেল এবং ফরাসি অঞ্চল কোত দারমোরে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *