Main Menu

সাহায্য তুলে মুক্তিপণ দিয়েও প্রাণভিক্ষা পেলেন না সাহেদ

নিউজ ডেস্ক:
পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা হন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পাটলী ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের সাহেদ। দালালের মাধ্যমে লিবিয়াতে গিয়ে মাফিয়া চক্রের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন তিনি। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত সাহেদ আলী (৩০) মৃত তবারক আলী ও গৃহিনী হাজেরা বিবি দম্পতির ছোট ছেলে।

জানা যায়, পৈতৃক ভিটা বিক্রি করে চার লাখ টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া যান সাহেদ আলী। লিবিয়া গিয়ে সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার পরিকল্পপনা করেন তিনি। কিন্তু যাওয়ার পথে মাফিয়া চক্রের কবলে পড়েন সাহেদ। তাকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করে মাফিয়া চক্র। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে টাকা দিতে পারেনি সাহেদের পরিবার।

টাকা দিতে না পারায় নির্যাতন শুরু হয় সাহেদের ওপর। নির্যাতনের খবর দেশে তার পরিবার জানতে পারলে এলাকার মানুষের থেকে সাহায্য তুলে দেড় লাখ টাকা লিবিয়ায় পাঠায়। এই টাকায় সন্তুষ্ট না হয়ে মাফিয়ারা তার ওপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। আর দালালদের নির্যাতনেই প্রাণ হারান সাহেদ। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাহেদ আলীর মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে তার পরিবার।

সাহেদের পরিবার জানায়, ২০২২ সালের ২১ মে চার লাখ টাকা দিয়ে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের পাড়ারগাঁও গ্রামের দালাল শাহীনের মাধ্যমে লিবিয়া যায় সাহেদ আলী। সেখানে পরিচয় হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দালাল সাদ্দামের সঙ্গে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে সাদ্দামকে সে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেয়। তখন মাফিয়া চক্র সাহেদের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়।

সাহেদের ভাই সাজ্জাদ মিয়া বলেন, মানুষের কাছে হাত পেতে দেড় লাখ টাকা যোগাড় করে দালালের মাধ্যমে মাফিয়াদের দিয়েছি। এরপরেও প্রাণভিক্ষা পেল না সাহেদ। টাকার জন্য তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *