বৃটেনের অভিবাসী আদালতে আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে সেই শামীমার

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
আইএস বধূ খ্যাত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের ভাগ্য আজ নির্ধারিত হবে ব্রিটেনের আদালতে। আট বছর পূর্বে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে বৃটেন ছেড়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৯ সালে তার জন্য বৃটেনের দরজার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বৃটেনে ফিরতে আদালতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শামীমা।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের অভিবাসন আদালত শামীমা বেগমের ভাগ্য নির্ধারণে চূড়ান্ত রায় দেবে।
এর আগে গত বছর ‘দ্য স্পেশাল ইমিগ্রেশনস আপিল কোর্ট’ বা সিয়াক-এ শামীমা বেগমের আইনজীবীরা দাবি করেন, তিনি মানব পাচারের শিকার হয়েছিলেন। তাকে অনলাইনের মাধ্যমে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়েছে এবং পরে তাকে পাচার করে সিরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে বৃটিশ সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন যে, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মূলত জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন। বৃটিশ সরকার সেসময় দাবি করেছিল শামীমার পিতা-মাতা সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছিল। যদিও বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
শামীমার আইনজীবী ড্যান স্কুয়ার্স আদালতকে বলেন যে, শামীমা যদি বাংলাদেশে ফিরে যায় তাহলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে এবং বৃটিশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন।
বর্তমানে শামীমা সিরিয়ার কুর্দি-পরিচালিত শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে বৃটেন ছেড়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন।
সিরিয়ায় পৌঁছে বিয়ে করেছিলেন এক বিদেশী আইএস যোদ্ধাকে। তবে আইএস’র সর্বশেষ ঘাটি ধ্বংস হওয়ার পর বন্দী শিবিরে জায়গা মেলে শামীমার। তিনি তখন আবার বৃটেনে ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বৃটিশ সরকার ২০২১ সালে তার নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়।
ফলে সিরিয়ায় আটকা পড়ে আছেন তিনি। এখন তার অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের আশঙ্কা করছেন শামীমা।
আদালতের রায় তার পক্ষে গেলে আবারও তিনি বৃটেনে ফিরতে পারবেন এবং নাগরিকত্ব ফেরত পাবেন।
Related News

পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর ঋণ দেওয়া কেন ঠেকাতে পারেনি ভারত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ গত সপ্তাহে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ (সহায়তাRead More

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More