Main Menu

জান্নাত লাভের সহজ যে দুই আমল

নিউজ ডেস্ক:
কিছু কাজ মানুষকে জান্নাতের পথ দেখায়, মানুষকে জান্নাতে পৌঁছতে সহায়ক হয়। মানুষকে আল্লাহর নেক বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে। আবার কিছু কাজ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, মানুষকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আল্লাহভীতি (তাকওয়া) ও উত্তম চরিত্র।’ আবার তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘মুখ ও লজ্জাস্থান।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০০৪)

উপরোক্ত হাদিসে প্রিয় নবীজি (সা.) জান্নাতে যাওয়ার মৌলিক দুটি কাজের কথা উল্লেখ করেছেন, যা অধিক পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। নিম্নে সে দুটি কাজের আলাদা ব্যাখ্যা করা হলো—

আল্লাহভীতি
তাকওয়া বা আল্লাহভীতি হচ্ছে সব ভালো কাজের উৎস, পুণ্য কাজের জন্য পথের দিশারি। তাকওয়া হচ্ছে ভালো কাজের মাধ্যমে আল্লাহর আজাব থেকে বেঁচে থাকা। আগের ও পরের সব উম্মতকে তাকওয়া অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই আমি নির্দেশ দিয়েছিলাম তোমাদের আগে যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের এবং তোমাদেরও; যেন তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩১)

উত্তম চরিত্র
যে কাজগুলো অধিক পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নেবে, তার মধ্যে দ্বিতীয়টি হলো উত্তম চরিত্র। আমাদের মহানবী (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের ওপর অধিষ্ঠিত।’ (সুরা : কালাম, আয়াত : ৪)

মহৎ চরিত্র কী? এর অর্থ নির্ধারণে কয়েকটি অভিমত আছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, মহৎ চরিত্রের অর্থ মহৎ দ্বিন। কেননা আল্লাহ তাআলার কাছে ইসলামের চেয়ে বেশি প্রিয় কোনো দ্বিন নেই। আয়শা (রা.) বলেন, স্বয়ং কোরআন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মহৎ চরিত্র। অর্থাৎ পবিত্র কোরআন যেসব উত্তম কর্ম ও চরিত্র শিক্ষা দেয়, তিনি সেসবের বাস্তব নমুনা। আলী (রা.) বলেন, মহৎ চরিত্র হলো কোরআনে বর্ণিত শিষ্টাচার। (কুরতুবি)

উত্তম চরিত্রের কিছু শাখা রয়েছে, যেগুলো মানুষকে প্রকৃত মুত্তাকি হতেও সাহায্য করে। নিম্নে সেই শাখাগুলো তুলে ধরা হলো—

সুবিচার বা ইনসাফ : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সুবিচার করো। কেননা তা তাকওয়ার নিকটবর্তী।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৮)

ক্ষমাশীলতা : পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধুকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘আপনি ক্ষমাশীলতা অবলম্বন করুন এবং মানুষকে ভালো বিষয়ের আদেশ করুন। আর মূর্খদের উপেক্ষা করুন।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৯৯)

নবীপ্রেম : নবীজি (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও তাঁর অনুসরণ মানুষকে উত্তম চরিত্র অবলম্বন করতে বাধ্য করে এবং প্রকৃত মুত্তাকিতে রূপান্তর করে। নবীজি (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে নিজেদের কণ্ঠস্বর নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরিশোধিত করেছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৩)






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *