Main Menu

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করল জার্মানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে বেঁচে যাওয়া মানুষের জন্য নিজেদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে জার্মানি৷ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জার্মানিতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নেয়ার সুযোগ দেবে দেশটি। তবে এ ভিসার মেয়াদ হবে তিন মাস। আর ভিসার যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে জার্মানিতে থাকা স্বজনদের।

জার্মানির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এআরডির বরাত দিয়ে বিল্ড অ্যাম জনটাগ এ তথ্য জানিয়েছে৷

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবক বলেন, ‘ফেডারেল সরকার হিসাবে আমরা জার্মানিতে থাকা পরিবাগুলোকে তাদের আত্মীয়স্বজনকে সহযোগিতার সুযোগ দিতে চাই৷ কারণ ক্ষতিগ্রস্ত অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, অনেকের চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন৷’

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসারও জানিয়েছেন, জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি এবং সিরিয়ান পরিবারগুলো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ‌‘ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের’ নিয়ে আসতে পারবেন৷ তবে অফিশিয়াল প্রক্রিয়া মানতে হবে৷

এক টুইট বার্তায় ন্যান্সি ফেসার উল্লেখ করেছেন, ভূমিকম্পে বাস্তুহারা মানুষের জন্য আমরা ব্যথিত। এই সময়ের সর্বহারা পরিবারগুলোর সহযোগিতা দরকার। তাদের প্রয়োজনের সহযোগিতা দিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ তবে এ প্রক্রিয়ায় ভিসাপ্রার্থীদের তিন মাসের ভিসা দেয়া হবে।

যারা পাবেন এ ভিসা:

ভূমিকম্পে যারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, যারা বাড়িঘর হারিয়েছে, আহত হয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদেরকেই দেয়া হবে ভিসা৷ আত্মীয়দের মধ্যে বাবা-মা, সন্তান, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি এবং ভাইবোনকে গ্রহণ করা হবে৷

এ জন্য তুর্কি নাগরিকদের স্বাস্থ্য বীমা, একটি বায়োমেট্রিক ছবি, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বসতির প্রমাণ, জার্মানি থাকা পরিবারটির সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রমাণ হাজির করতে হবে৷

আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো এই নতুন পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলেও সিরিয়ানদের জন্য বিষয়টি এখনও একটু কঠিন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আবেদন যেভাবে:

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুর্কি নাগরিকদের তাদের দেশে অবস্থিত জার্মান মিশনে গিয়ে এ ভিসার আবেদন করতে হবে৷

একজন ভিসাপ্রার্থী বৈধ পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলে তাকে ভিসা দিতে বড়জোর পাঁচ কর্মদিবস সময় নেবে মিশন৷ এই সপ্তাহ থেকে তুরস্কে জার্মানির ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো থেকে ভিসা প্রার্থীরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন৷

ভূমিকম্পের কারণে যারা পাসপোর্ট হারিয়েছেন, তারাও আবেদন করার সুযোগ পাবেন৷ জার্মান সরকার জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে তুরস্কে গঠিত টাস্ক ফোর্স বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে৷

তবে সিরিয়ানদের জন্য প্রক্রিয়াটি জটিল। দামেস্কে জার্মান দূতাবাসটি বন্ধ রয়েছে৷ ফলে দেশটির নাগরিকদের জার্মানি আসতে হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র লেবানন, জর্ডান এবং তুরস্কের জার্মান মিশন থেকে আবেদন করতে হবে৷

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিরীয়দের জন্য বিষয়টি আরো সহজ করা যায় কিনা তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়৷ জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সিরিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোতে গিয়ে তারা ভিসার আবেদন করতে পারবেন৷

ভিসা পেতে কোনো ফি দিতে হবে না আবেদনকারীদের৷ তবে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে৷ এআরডির তথ্য অনুযায়ী, ভিসাপ্রত্যাশীর থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, যাতায়াতসহ সব ব্যয় বহনে অঙ্গীকার করতে হবে জার্মানিতে থাকা আত্মীয়দের৷






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *