‘লিবিয়ায় অভিবাসীদের অঙ্গ পাচার করছে চোরাকারবারিরা’

বিদেশবার্তা২৪ ডেস্ক:
লিবিয়ায় অভিবাসীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে চোরাকারবারিরা তাদের অঙ্গ পাচার করছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনকেন্দ্রের বিজ্ঞান বিষয়ক পরিচালক আহমিদ আল-জাইদানি৷ রাজধানী ত্রিপোলিতে বুধবার অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ে আল-ইনমা অর্গানাইজেশন ফর সাপোর্টিং ইয়ুথ অ্যান্ড উইমেন আয়োজিত একটি আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
আহমিদ আল-জাইদানি বলেন, চোরাকারবারিদের খপ্পরে পড়ে লিবিয়ায় প্রায় ছয় লাখ ১০ হাজার অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান করছে। অভিবাসীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের অঙ্গ পাচার করছে চোরাকারবারিরা। মানব অঙ্গ পাচারে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রগুলোর সঙ্গে লিবিয়ার স্থানীয় চক্র জড়িত বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, লিবিয়ায় আশ্রয় নেয়া অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই আফ্রিকা, আরব ও এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসেছে৷ অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশীরা শুধু আফ্রিকার নাগরিক নয় বরং তারা সিরিয়া, মিশর, সুদান এবং ইয়েমেনের মতো আরব রাষ্ট্র থেকেও আসে। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে আসেন বলে জানান আল-জাইদানি৷
লিবিয়ায় ঠিত কতজন অভিবাসী অবস্থান করছে সাধারণভাবে প্রকৃত সংখ্যা বের করা কঠিন বলে মনে করেন তিনি৷ কারণ হিসেবে আল-জাইদানি জানান, যারা গোপনে এসে এদেশে থাকেন, তাদের গণনা করা সম্ভব নয়৷
অভিবাসীদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে লিবিয়া একটি উল্লেখ করে আল-জাইদানি বলেন, অভিবাসীদের কারণে দেশটিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে৷ লিবিয়ার স্থানীয়রা অভিবাসীদের শোষণ করার পাশাপাশি কিছু সশস্ত্র গ্যাং অভিবাসীদের নিজ নিয়ে তাদের দিয়ে চুরি ও সশস্ত্র ডাকাতির কাজে ব্যবহার করছে।
আলোচনা সভায় লিবিয়ার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদের উপদেষ্টা এবং অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে দেশটির সুপ্রিম কমিটির প্রতিনিধি গাইথ আল-সাকবি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপকূলরক্ষী ও বন্দর সুরক্ষা প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাহার মাসুদ আবদেল সামাদসহ বেশ কয়েকজন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।
Related News

পাকিস্তানকে আইএমএফ-এর ঋণ দেওয়া কেন ঠেকাতে পারেনি ভারত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ গত সপ্তাহে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলারের ‘বেলআউট প্যাকেজ’ (সহায়তাRead More

ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায়
ইউরোপে বৈধভাবে যাওয়ার উপায় পৃথিবীর অন্যতম মহাদেশ ইউরোপ। প্রতিবছর বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী, দক্ষ কিংবাRead More