বাংলাদেশের সহায়তা চায় তুরস্ক
নিউজ ডেস্ক:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। গত সোমবারের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশ দুটির উদ্ধারকারীরা বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় তুরস্ক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশের কাছে। সহায়তা হিসেবে দেশটি খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ চেয়েছে। তবে ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় নগদ কোনো অর্থ সহায়তা নেবে না দেশটি।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকায় তুরস্ক দূতাবাসে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সহায়তা চাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ তুরস্কের দূতাবাস।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভূমিকম্পে ছয় হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে বাংলাদেশের সহায়তা চাই আমরা।’
বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তুর্কী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তুরস্কের ১০টি প্রদেশে ভূমিকম্প হয়েছে। ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে। এতে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।’
রাষ্ট্রদূত তুরান আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ থেকে সহায়তা সামগ্রী নিতে চাই। আমাদেরকে শীতের কাপড়, ওষুধ, শুকনো খাবার ইত্যাদি সহায়তা দিতে পারেন। ঢাকার টার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকা অফিস এসব সহায়তা নেবে। তারা এসব সামগ্রী তুরস্কে পাঠাবে। তবে টিকা অফিস কোনো নগদ অর্থ সহায়তা নেবে না। কেননা এখানে তাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সে কারণে অর্থ পাঠাতে জটিলতা তৈরি হবে।’
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তুরস্ক ও সিরিয়া মিলে এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে ঠিক কত লোক আটকা পড়েছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। স্বাভাবিক কারণেই নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কাজের সঙ্গে জড়িতরা।
গত সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর আরও কয়েকটি ভূমিকম্প ও ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন হয়। এতে দুই দেশের অন্তত ১৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর তিন দিন কেটে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো যারা আটকে আছেন তাদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে এসেছে।
যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ স্টেভেন গোডবে বলেছেন, ‘দুর্যোগের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে ৭৪ শতাংশ। ৭২ ঘণ্টা (তিন দিন) পর এটি নেমে আসে ২২ শতাংশে। আর পঞ্চম দিনে কোনো আহত বা ক্ষতিগ্রস্তের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৬ শতাংশে চলে আসে।
Related News
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More
যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় সিলেটির মৃত্যু
যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় সিলেটির মৃত্যু যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শহরে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়ে কাহেরRead More