মিশিগানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোশাক ও পিঠা উৎসব
মিশিগানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোশাক ও পিঠা উৎসব
নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশি পোশাক ও পিঠা উৎসবের। অল্প জায়গায় স্বল্প পরিসরেই মিশিগানে বসবাসরত বাঙালি রমনি ও শিশু-কিশোররা মেতে উঠে জমকালো এই উৎসবে।
রবিবার (৯ অক্টোবর) মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটির জোসেফ কম্পো রোডের ডি লটে আয়োজন করা হয় এ উৎসবের।
দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ১১টা পর্যন্ত।
শীত এলেই যেন পিঠা পুলি খেতে ভালোবাসেন বাঙালিরা। পিঠা মেলায় মিশিগানে বসবাসরত বাঙালি রমনি ও শিশুরা মেতে উঠেন নানা আনন্দে। পাশাপাশি তরুণরা নেচে গেয়ে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের খানিকটা সময় আনন্দ দেন হালের ট্র্যান্ড গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান পরিবেশন করে।
এক পর্যায়ে পিঠা মেলা উৎসবে পরিণত হয় বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়।
পিঠা মেলায় নারীদের পাশাপাশি শিশুদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। মেলায় দেখা যায় নারীদের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন দোকানে দেশীয় তৈরি পোশাক এবং বাসা থেকে তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে আসেন মেলায়।
প্রতিটি স্টলে থরে থরে সাজানো হয় বাহারি সব পিঠা। আর এসব দেশীয় পিঠার স্বাদ নিতে স্টলে ভিড় করছেন নানা বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা। প্রবাসের মাটিতে এমন আয়োজন দেখে আনন্দিত নতুন প্রজন্মও।
মেলা দেখতে আসা আয়না ইভেন্ট অ্যান্ড ডেকরের কর্ণধার তাহিরা জায়গিরদার বলেন, আজকের পিঠা মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। দেশের অনেক ঐতিহ্য দেখতে পাচ্ছি। দেশীয় খাবার ও তৈরি পোশাকের স্টল আছে। দেশীয় সংস্কৃতি চোখের সামনে ভাসছে, আমাদের বাচ্চারা বাঙারি খাবার, পোশাক ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। আমি মনে করি এই ধরনের আয়োজন এখানে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাচ্চাদের জন্য দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ততায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরেক নারী সংগঠক পুস্প রানী বলেন, যখনই জানি এখানে আমাদের দেশীয় কোনো মেলা বা উৎসব হয়, মনের আনন্দেই যাই কারণ দেশের অনেক অনুষ্ঠান বা উৎসব খুব মিস করি। এখানে দেশীয় কোনো অনুষ্ঠান, মেলা বা উৎসবে গেলে নিজের ঐতিহ্যকে খুঁজে পাওয়া যায় এবং আজকের এই মেলায় এসে অনেক ভালো লেগেছে।
আনন্দ আয়োজনের আরেক নারী উদ্যোক্তা এবং ফ্যাশন উইথ মি এর কর্ণধার লিজু চৌধুরীরও একই মত প্রকাশ করেন।
তার ভাষ্য, আমি সাধারণত দেশের সূতি কাপড়ের তৈরি পোশাক বেশি বিক্রি করি। এমনকি আজকে যে মেলা আয়োজন করা হয়েছে যার কারণে আমরা সবাই একসঙ্গে হতে পেরেছি, অনেক মজা করছি, দেশীয় খাবারের সাথে চালের তৈরি বিভিন্ন পিঠা খেতে পাচ্ছি।
প্রবাসে জন্ম ও বেড়ে ওঠা শিশুদের নিজেদের সংস্কৃতি, পোশাক ও খাবারের সঙ্গে পরিচয় করে দিতেই এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজনের কথা জানান আয়োজক লুবা পলাশ। প্রথমবার আয়োজনেই ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় প্রতি বছর এমন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান এই নারী উদ্যোক্তা।
মিশিগানে এই উৎসবে গিয়ে নিজেদের ভালো লাগার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেকেই। প্রবাসীদের সন্তানরা অনেকেই বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভুলে যেতে বসেছে। তাই প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজনের আহ্বান জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
Related News
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ
কুয়েত থেকে লাশ হয়ে ফিরল শালা-দুলাভাইের নিথর দেহ আরব উপদ্বীপের দেশ কুয়েত থেকে কফিনে করেRead More
যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় সিলেটির মৃত্যু
যুক্তরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় সিলেটির মৃত্যু যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শহরে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গাছ উপড়ে পড়ে কাহেরRead More