Main Menu

সুনামগঞ্জের তিন শুল্ক স্টেশনের কোনোটিতেই নেই অবকাঠামোগত সুবিধা!

সুনামগঞ্জের তিন শুল্ক স্টেশনের কোনোটিতেই নেই অবকাঠামোগত সুবিধা!
নিউজ ডেস্ক:
বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলি- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত তিনটি শুল্ক স্টেশন। এগুলো দিয়ে প্রতি বছর ভারত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি হয়। মোটা অংকের রাজস্ব পায় সরকার। কিন্তু শুল্ক স্টেশনগুলো স্থাপানের দুই যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অবকাঠামোগত সুবিধা নেই তিনটি শুল্ক স্টেশনের কোনটিতে।

একটি আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অপ্রতুল সুবিধা চালতে হয় কাস্টম কর্মকর্তাদের অফিস। আর ভারত থেকে আমদানি করা মালামাল পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ অংশে আজও তৈরি হয়নি পাকা সড়ক। ফলে বৃষ্টি আর বর্ষা মৌসুমে মালামাল পরিবহনে দেরিতে পড়তে হয় আমদানিকারকদের। এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের।

জানা গেছে, এই তিন শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয় দেশে সবচেয়ে ভালোমানের কয়লা। এই কয়লা ইট তৈরিসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি আমদানি করা চুনাপাথর সিমেন্ট ও চুন তৈরি কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এদিকে, সীমান্তবর্তী এই তিনটি শুল্ক স্টেশনের পাশ দিয়ে একটি সীমান্ত সড়কের কাজের অগ্রগতি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। এই সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় আমদানি করা মালামাল দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌপথেও পরিবহন করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না ব্যবসায়ীদের। কিন্তু পরিবহন কাজে ব্যবহৃত নদীগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে প্রায়ই বন্ধ থাকে নৌ চলাচল। পানি কমে যাওয়ার কারণে প্রায়ই নৌপথে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ নৌজট। এসব প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণে বিন্নাকুলি-বড়ছড়া-মধ্যনগর সড়কটি পাকাকরণের বিকল্প দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের কোষাধক্ষ্য বলেন, ভারত থেকে যে পথ দিয়ে আমদানি করা মালামাল বাংলাদেশে আসে, সেই পথে ভারতের অংশ পাকা থাকলেও বাংলাদেশ অংশ আজও কাঁচা রয়ে গেছে। ফলে নানামুখী অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে আমাদের।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, সীমান্ত সড়কটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেতুর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *